সব

চীনা রাষ্ট্রদূতের রহস্যজনক ঢাকা ত্যাগ

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Thursday 1st March 2018at 3:04 pm
118 Views

আমারবাংলা ডেস্কঃ বাংলাদেশে চীনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মা মিং কিয়াং ঢাকায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ না করেই নিজ দেশে ফিরে গেলেন। বিশেষ প্রয়োজনে নিজ দেশে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে ঢাকা ছাড়েন তিনি।

পরে ঢাকায় চীনের দূতাবাসের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়ে দেয়া হয়, রাষ্ট্রদূত মা মিং কিয়াং আর বাংলাদেশে আসতে পারছেন না। ইতিমধ্যে চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত ঢাকায় পৌঁছেছেন। তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র দেয়ার অপেক্ষায়।

মা মিং কিয়াং ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

সাধারণত কোনো বিদেশি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে তিন বছর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে থাকেন। সে হিসেবে মা মিং কিয়াং বাংলাদেশে তার দায়িত্ব পালন শেষ করেছেন। বিদায় নেয়ার আগে বিদেশি রাষ্ট্রদূত প্রথাগতভাবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্যমূলক বিদায়ী সাক্ষাৎ করে থাকেন। সে মোতাবেক মা মিং কিয়াং ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চান।

গত নভেম্বরের শেষদিকে তিনি বিশেষ প্রয়োজনের কথা বলে চীন যান। ফিরে না আসায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চীনের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাতের সময় নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিপাকে পড়ে যায়। ঢাকায় চীনের দূতাবাসের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে দূতাবাস জানায়, মা মিং কিয়াংয়ের শ্বশুর অসুস্থ, তাই তিনি বিদায়ী সাক্ষাতের জন্য ঢাকায় আসতে পারছেন না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বাংলাদেশে চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হয়েছেন ঝ্যং জুও। প্রায় ১৫ দিন আগে নতুন রাষ্ট্রদূত ঢাকায় পৌঁছান। তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। রাষ্ট্রপতি এখনও তার পরিচয়পত্র পেশ করার সময় দেননি।

চীনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মা মিং কিয়াং বিদায়ী সাক্ষাৎ না করেই চলে যাওয়ার কারণ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানতে চাইলে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, ‘তার শ্বশুর অসুস্থ বলে চীনের দূতাবাস জানিয়েছে। এছাড়া অন্য কোনো কারণ আমাদের জানা নেই।’

তিনি এও বলেন, চীনের অভ্যন্তরীণ কোনো কারণ থাকলে সেটা সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ছাড়া ওই দেশের কঠোর গোপনীয় নীতির কারণে কেউই জানতে পারে না। বাইরের দেশের কারও পক্ষে সেটা জানা যায় না। বাংলাদেশে বসে সেটা জানা প্রায় অসম্ভব।


সর্বশেষ খবর