সব

বিশ্বব্যাংকের প্রেতাত্মারা অর্থ মন্ত্রণালয়ে বসে আছে: পাট প্রতিমন্ত্রী

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Tuesday 6th March 2018at 12:04 am
132 Views

স্টাফ রিপোর্টারঃ পাট খাত নিয়ে এখনও দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করছে সরকার। বিশেষ করে বিশ্বব্যাংকের প্রেতাত্মারা (ভূত) অর্থ মন্ত্রণালয়ে বসে আছে। তারা পাটের কোনো ফাইল দেখলেই গতি কমিয়ে দেয়। অর্থমন্ত্রীও এ খাতের ব্যাপারে বিরূপ। পাটের কোনো সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তিনি মনোযোগ দেন না।

সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত সেমিনারে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এসব কথা বলেন।তার মতে, দীর্ঘদিন পর্যন্ত একটি ইস্যু নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি চালাচালি হচ্ছে। এসব চিঠি মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরা হবে।

ইআরএফের সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী, কৃষি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) চেয়ারম্যান ড. মো. মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এএফপির ব্যুরো চিফ শফিকুল আলম।

মির্জা আজম বলেন, দেশের পাট খাত ধ্বংসের জন্য বিশ্বব্যাংকের ষড়যন্ত্র ছিল। তাদের পরামর্শেই সরকারি পাটকলগুলো বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া হয়। বিশ্ব ব্যাংকের ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরে মির্জা আজম বলেন, প্রতিষ্ঠানটির পরামর্শেই বিশ্বের সর্ববৃহৎ পাটকল আদমজী জুট মিল ২০০২ সালে খালেদা জিয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তখন মিল বন্ধ করতে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ সরকারকে অর্থ সহায়তা দিয়েছে।

ওই অর্থ দিয়ে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দেয়া হয়েছে। কিন্তু একই সময়ে পার্শ্ববর্তী ভারত সরকারকে নতুন পাট মিল চালু করতে অর্থ সহায়তা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

তারমতে, আদমজী জুট মিল হতে আড়াই লাখ বেল (১ বেলে ১৮০ কেজি) পাট পণ্য রফতানি হতো। এটাই ছিল বিশ্বব্যাংকের চক্রান্ত। বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের প্রেতাত্মারা অর্থ মন্ত্রণালয়ে বসে আছে।তিনি বলেন, ‘আমি মন্ত্রী হয়েও টেবিলে টেবিলে ঘুরে বেড়াই কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাটের ফাইল ছাড় হয় না’।

তিনি বলেন, স্বয়ং অর্থমন্ত্রী পাট খাতের ব্যাপারে বিরূপ। এ খাতের কোনো ফাইল গেলে তিনি মনোযোগ দিতে চান না। মন্ত্রীর কারণে ওই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও কাজ করতে চায় না। কর্মকর্তারা অন্যান্য কাজ স্বাভাবিকভাবে করেন। কিন্তু পাটের ফাইল গেলেই গতি কমে আসে। নানাভাবে জটিলতা সৃষ্টি করে।


সর্বশেষ খবর