সব

নৌ যোগাযোগ হুমকির মুখ তিস্তায়

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Monday 7th March 2016at 10:03 pm
55 Views

3স্টাফ রিপোর্টার ঃ অব্যাহত পানি হ্রাসের ফলে গাইবান্ধায় তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র ও যমুনাসহ সবগুলো নদীর চ্যানেল শুকিয়ে যাওয়ায় নৌ যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। যে কোন সময় নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত নভেম্বর থেকে ব্রহ্মপুত্র-তিস্তা ও যমুনায় পানি কমতে শুরু করেছে। এখন পানির লেভেল সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসে ঠেকেছে। ফলে নদীগুলো অসংখ্য শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত হয়ে শীর্ণকায় রূপ নিয়েছে। নদী বুকে জেগে উঠেছে ছোট বড় অসংখ্য ডুবোচর। ফলে ওইসব চ্যানেলে শ্যালোচালিত নৌকাসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল করতে পারছে না।

গাইবান্ধার ফুলছড়ি বালাসীঘাট, তিস্তামুখঘাট, সৈয়দপুর, এরেন্ডাবাড়ী, ফজলুপুর, সদর উপজেলার কুন্দেরপাড়া, কামারজানি, গিদারি এবং সাঘাটা নৌ বন্দরে চলাচলকারী চ্যানেলে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ওইসব নৌঘাট থেকে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর, কর্তীমারী, চিলমারী, রৌমারী, জামালপুরের ইসলামপুর, বাহাদুরাবাদ, দেওয়ানগঞ্জ, ঘুটাইল, ফুলছড়ির সানন্দবাড়ী, ফুটানী বাজার, জিগাবাড়ী, হরিচন্ডি, খোলাবাড়ী, খাটিয়ামারী, সুন্দরগঞ্জের হরিপুর, কাপাসিয়া, লালচামার, বেলকাসহ বিভিন্ন ঘাট দিয়ে এখন নৌকাসহ অন্যান্য নৌযান স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না।

এর ফলে চরাঞ্চলের মানুষের যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক নৌঘাট এখন বন্ধ হয়ে গেছে।

এদিকে নদীর বুকে বিশাল চর জেগে ওঠায় মাইলের পর মাইল এখন পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হয় চরবাসীকে। ফলে তপ্ত বালিরাশিতে জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়ছে। গত বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও যমুনাসহ ছোট-বড় শাখা নদীর পানি দ্রুত কমতে শুরু করে। অব্যাহত পানি হ্রাসের ফলে নদীগুলো নিজেদের অস্তিত্ব হারাতে বসেছে এখন।

ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও তিস্তাসহ তিনটি নদীর পানি এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে ঠেকেছে। এসব নদীর বুকে বিশাল বিশাল চর জেগে উঠেছে এখন। নাব্যতা থাকায় স্বাভাবিক সময় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের বির্র্স্তীণ চরাঞ্চলে যাতায়াতের জন্য ৩০টি রুটে নৌযান চলাচল করতো। এখন সেখানে মাত্র ১৭টি রুটে যান্ত্রিক নৌকা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ফলে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে।

এ ব্যাপারে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান, অব্যাহত পানি হ্রাসের ফলে এ নদীগুলো আরো ভরাট হয়ে যাবে এবং নাব্যতা সংকটের মুখে পড়বে। সেজন্য অবিলম্বে নৌ চ্যানেলগুলো ড্রেজিং করে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে পদক্ষেপ নেয়া দরকার। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, দেশের নদীগুলো ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা সরকারের একটি মহাপরিকল্পনা রয়েছে।


সর্বশেষ খবর