ভারতের সাথে ২০০ কোটি ডলার ঋণ চুক্তি
ডেস্ক রিপোর্টঃ ভারত বাংলাদেশকে নতুন ২০০ কোটি ডলারের ঋণের বিষয়ে বুধবার চূড়ান্ত চুক্তি হতে যাচ্ছে।বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ভারতের ওই ২০০ কোটি ডলারের লাইন অব ক্রেডিটের চূড়ান্ত ঋণ চুক্তি সই হবে বলে জানিয়েছেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহা. আসিফ উজ জামান।
তিনি বলেন, বুধবার বেলা ৩টায় ওই চুক্তি হবে। এতে বাংলাদেশের পক্ষে ইআরডির জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন এবং ভারতের পক্ষে দেশটির এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সই করবেন।
ইআরডি অতিরিক্ত সচিব আসিফ-উজ- জামান জানান, অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ভারতের রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা থাকবেন।
সম্প্রতি ভারতীয় দূতাবাস থেকে ইআরডিতে একটি চিঠি পাঠানো হয় জানিয়ে তিনি বলেন, চিঠিতে ভারতের পক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা চুক্তিতে সই করবেন বলে জানানো হয়েছে।
২০১৫ সালের ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময় বাংলাদেশকে নতুন করে ২০০ কোটি ডলারের ‘নমনীয় ঋণ’ দিতে সমঝোতা চুক্তি হয়। অবশেষে তার চূড়ান্ত চুক্তি হতে যাচ্ছে।
বিলম্বের কারণ সম্পর্কে ইআরডির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ভারতীয় ঋণে বাস্তবায়িতব্য প্রকল্পগুলোর জন্য ভারত থেকে পণ্য ও সেবা আমদানির বিষয়ে মতান্তর হওয়ায় কিছুটা জটিলতা দেখা দিয়েছিল।
শেষ পর্য়ন্ত প্রথম এলওসির মতো ৬৫-৭৫ শতাংশ সেবা ও পণ্য আমদানি ভারত থেকে আমদানির নিশ্চয়তা থাকছে চুক্তিতে।
এ ঋণের চূড়ান্ত চুক্তির বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন ২০০ কোটি ডলারের ঋণের সব শর্তই ২০১০ সালে চুক্তি হওয়া প্রথম ১০০ কোটি ডলারের ঋণের মতোই হবে।
১০০ কোটি ডলারের ঋণে ১৫টি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়; যার সাতটি শেষ হয়েছে, বাকিগুলো চলমান।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারতীয় ২০০ কোটি ডলারের ঋণের জন্যও প্রথম এলওসির মতো মাত্র ১ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।
কমিটমেন্ট ফি দিতে হবে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হারে। আর ৫ বছরের রেয়াতকালসহ ২০ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
নির্ধারিত সময়ে অর্থ ব্যয় নিশ্চিত করতে না পারলে ২ শতাংশ হারে সুদের অতিরিক্ত দণ্ড সুদ দিতে হবে। শর্ত হিসেবে চলমান ঋণের মতো নতুন প্রকল্পগুলোর অন্তত ৬৫-৭৫ শতাংশ পণ্য ও সেবা অবশ্যই ভারত থেকে আনতে হবে।
নতুন ২০০ কোটি ডলার ঋণের অর্থে বাস্তবায়নের জন্য সরকার ১৩টি উন্নয়ন প্রকল্প বাছাই করেছে; যার মধ্যে রেলের তিন প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৯ কোটি ডলার।
সড়ক, নৌ, রেলপথ, তথ্যপ্রযুক্তি ও বিদ্যুৎ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে ১৩টি প্রকল্প বাস্তবায়নে দুই দেশের মধ্যে ওই সমঝোতা চুক্তি হয়। নির্বাচিত ১৩ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩৭ কোটি ডলার।