মালালা’র প্রত্যাবর্তন পাকিস্তানের মানুষ কিভাবে নিয়েছে?
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই পাকিস্তানের সোয়াতে নিজ বাড়িতে ফেরার পর প্রতিটি মুহুর্তে তাঁকে আবেগ তাড়া করছে।
পাকিস্তানের জনগণের বড় অংশই তাঁর এই ফিরে আসায় আনন্দিত বলে বিবিসির সংবাদদাতারা জানিয়েছেন। কিন্তু তাঁর বিপক্ষেও মিছিল হয়েছে লাহোরে।
প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর পর মালালা বাবা-মাসহ জন্মভূমি পাকিস্তানে ফেরেন। ২০১২ সালে তিনি পাকিস্তান ছেড়েছিলেন তালেবান জঙ্গীদের গুলিতে মারাতœক আহত হয়ে। স্কুলবাসে তাঁর উপর সেই হামলা হয়েছিল নারীদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে কাজ করার জন্য।
শনিবার দুই ভাই এবং বাবা-মাকে নিয়ে নিজ বাড়িতে যখন প্রবেশ করেন, তখন সেখানে তাঁদের কান্নাভেজা চোখ অন্য রকম এক পরিবেশ তৈরি করেছিল।
মালালা কয়েকদিন ধরে নিজের জন্মভূমিতে যেখানেই কথা বলছেন, সেখানেই ছিল তাঁর আবেগ জড়িত কন্ঠ।তিনি তুলে ধরছেন দেশে স্থায়ীভাবে ফিরে আসার স্বপ্নের কথা।
ইসলামাবাদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এক অনুষ্ঠানে মালালার বক্তব্য সরাসরি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচার করা হয়েছে।
মালালার নিজ বাড়ি যে প্রদেশে, সেখানে এখনও জঙ্গীদের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে।ফলে মালালা পাকিস্তানে এলেও নিজের বাড়িতে যেতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে শংকা ছিল শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত।
তবে কঠোর নিরাপত্তায় সব শংকা দূর করে মালালা শেষপর্যন্ত গিয়েছিলেন নিজ বাড়িতে।
সেখানে তাঁরা আতœীয়স্বজন এবং স্কুলের সহপাঠীরা তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।
মালালাও আবেগজড়িত কন্ঠে বলেছেন,তিনি চোখ বন্ধ করে নিজ জন্মভূমি ছেড়েছিলেন।আর আজ চোখ খুলে ফিরে এসেছেন।
মালালা শিশুদের শিক্ষা এবং অধিকার নিয়ে বিশ্বজুড়ে কথা বলছেন। তিনি নারী শিক্ষার জন্য মালালা ফান্ড গঠন করেছেন।
ইসলামাবাদ থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জানিয়েছেন, দেশটির জনগণের বড় অংশই মালালাকে সমর্থন করছেন। তারা মালালার ফিরে আসায় আনন্দ প্রকাশ করছেন।
তবে একটা অংশের মধ্যে মালালার সমালোচনা রয়েছে।তারা মনে করে, মালালা পশ্চিমাদের এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছেন।
পাকিস্তানের লাহরে কয়েকটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা মালালার ফেরার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে।তারা আমি মালালা নই বলেও শ্লোগান দেয়।
এ ধরণের সমালোচনায় মালালা ইউসুফজাই আশ্চর্য হয়েছেন। তিনি বলেছেন, কেন তাঁর বিপক্ষে কথা বলা হচ্ছে সেটা তিনি বুঝতে পারছেন না।
সূত্র: বিবিসি