গোপন বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মে মাসে ট্রাম্প-কিম বৈঠকের প্রস্তুতি হিসেবে এর মধ্যেই উত্তর কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গোপন সরাসরি আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।
মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আনের মধ্যে শীর্ষ বৈঠক হবার কথা – যা হবে সাম্প্রতিক পৃথিবীর ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা. কারণ এটিই হবে উত্তর কোরিয়ার কোন নেতার সাথে কোন ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথম বৈঠক।
তার আগে ট্রাম্প প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র উদ্ধৃত করে বিবিসি বলছে, মার্কিন এবং উত্তর কোরিয়ান গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এর মধ্যে ‘বহু বার’ কথা বলেছেন।
‘একটি তৃতীয় দেশে’ তাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে।
সোল থেকে বিবিসির সংবাদদাতা লরা বিকার বলছেন, অনেক গুঞ্জন শেষে এ ব্যাপারটা শেষ পর্যন্ত স্বীকার করা হলো যে ওয়াশিংটন এবং পিয়ংইয়ং একে অপরের সাথে কথা বলছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, উত্তর কোরিয়া ট্রাম্প-কিম বৈঠকের সময় তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের মজুতের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।
উত্তর কোরিয়া ইতিমধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়াকে বলেছে যে তারা ওই অঞ্চলকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করা নিয়ে কথা বলতে রাজী, কিন্তু এই প্রথম এ ব্যাপারে ওয়াশিংটনকে সরাসরি আশ্বাস দেয়া হলো।
উত্তর কোরিয়া এখনো প্রকাশ্যে শীর্ষ বৈঠকের কথা নিশ্চিত করে নি
এই সম্মেলন কোথায় এবং কখন হবে – তা এখনো অস্পষ্ট।
তবে এক বছর ধরে দুই দেশের নেতাদের পরস্পরকে হুমকি, বিদ্রুপ-গালাগালির পর যখন মার্চ মাসে হঠাৎ বৈঠকের খবর বেরোয় – তা সবাইকে বিস্মিত করেছিল।
উত্তর কোরিয়া এখনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠক নিয়ে নিরবতা ভাঙে নি। তবে কিছু বৈঠকের খবরে বোঝা যায় যে তারাও তৈরি হচ্ছে। মার্চ মাসেই কিম জং আন ২০১১ সালে ক্ষমতাসীন হবার পর তার প্রথম বিদেশ সফরে চীন গিয়েছিলেন।
চীন উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় মিত্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শীর্ষ বৈঠকের ক্ষেত্রে তার ভুমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তবে ওই অঞ্চলকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করা বা ‘ডি-নিউক্লিয়ারাইজেশন’ বলতে দুই পক্ষ একই জিনিস বোঝে কিনা – তা নিয়ে উদ্বেগ আছে অনেকের।
যুক্তরাষ্ট্র চায়, কিম জং আন তার সব পরমাণু অস্ত্র ত্যাগ করুন – যা উত্তর কোরিয়া কয়েক দশক ধরে বহু অর্থ ব্যয় করে গড়ে তুলেছে। আর উত্তর কোরিয়া বার বার দাবি জানিয়ে আসছে কোরিয়া উপদ্বীপ থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করার এবং তারা নিশ্চয়তা চাইছে যে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানকে রক্ষা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র তার অস্ত্র ব্যবহার করবে না।
কাজেই, দুই নেতার সম্ভাব্য বৈঠকে এসব প্রশ্ন বড় হয়ে উঠতে পারে। সূত্র: বিবিসি।