বিদ্যাসাগরের স্কুলের ভাষা ইংরেজি-হিন্দি!
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বাংলা ভাষার শিক্ষার্থীর অভাবে অবলুপ্তির পথে বর্ণ পরিচয়ের স্রষ্টা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের স্কুল। তাই স্কুলটিকে বাঁচাতে হিন্দি ও ইংরেজি মাধ্যমে পাঠ্যক্রম শুরু করতে চায় বর্তমান পরিচালনা পরিষদ।
কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা আরও জানায়, ১৩১ বছর আগে ১৮৮৭ সালে উত্তর কলকাতার বড়বাজারের কলাকার স্ট্রিটে বাংলা ভাষায় শিক্ষালাভের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয় এই স্কুলটি। এর প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। ১৮৯১ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ওই স্কুলের সুপারিন্টেনডেন্ট ছিলেন তিনি নিজেই।
১৯২৩ সালে প্রসন্ন কুমার ঠাকুর স্ট্রিটে স্থানান্তরিত হয় স্কুলটি। দোতলা ওই বাড়িটি ঠাকুর পরিবার থেকে ভাড়া নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
বর্তমান পরিচালনা পরিষদের এক সদস্য বলেন, ১৯৫৪ সালে ওই বাড়িটি ঠাকুর পরিবারের কাছ থেকে কিনে নেওয়া হয়েছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্কুল করার আগে মাইকেল মধুসূদন দত্ত তার শর্মিষ্ঠা নাটকটি লিখেছিলেন এই বাড়িতে বসেই।
উত্তর ও মধ্য কলকাতায় বিদ্যাসাগর কলেজ, মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন , বউবাজার শাখা এবং বড়বাজার শাখা -সবকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে বিদ্যাসাগরের উদ্যোগে। বিদ্যাসাগর ইনস্টিটিউশন নামে এক ট্রাস্টের অধীনেই রয়েছে ওই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
ওই স্কুলেরই সাবেক এক কর্মী বলেন, দুপুর শিফটের স্কুল আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। সকালে মেয়েদের স্কুল চললেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি খুবই কম। যা সংখ্যায় মাত্র ৮ থেকে ১০ জন।
স্কুল পরিচালনা পরিষদের সম্পাদক প্রমথ নাথ পালিত বলেন, বিদ্যাসাগর নিজে ওই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাংলা ভাষায় শিক্ষাদান তার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল। বাংলা ভাষার শিক্ষার্থী না পাওয়ায় স্কুলটি এখন বন্ধ প্রায়। কিন্তু স্কুলটি বাঁচিয়ে রাখা প্রয়োজন। তাই হিন্দি- ইংরেজি ভাষায় স্কুল করতে চাই আমরা। সরকারের সাহায্য পেলে তা সম্ভব।
চৎরহঃ