‘কিছু সময়ের জন্য ককপিটের সঙ্গে কন্ট্রোল টাওয়ারের যোগাযোগ ছিল না’
আমারবাংলা ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশনের নিয়ম অনুযায়ী যেকোন বিমান দুর্ঘটনার এক মাসের মাথায় একটা প্রাথমিক প্রতিবেদন দিতে হয়। সেই নিয়ম অনুযায়ী এই প্রতিবেদনটি দেয়া হয়েছে।
ইউএস বাংলা বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে ত্রিভুবন বিমানবন্দরের দক্ষিণ-পূর্ব দিক দিয়ে, যদিও বিমানটি রানওয়ের বাইরে চলে যায়।
পরবর্তী সময়ে বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিমানবন্দরের সীমানা প্রাচীর ভেঙে রানওয়ের ৪৪২ মিটার দূরে গিয়ে পড়ে। এরপর বিমানটিতে আগুন ধরে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি রানওয়েতে নামার ঠিক আগ মুহূর্তের কি হয়েছিল সেটার কিছুটা ধারণা দেন মি. রহমতুল্লাহ।
১২ মার্চ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ড্যাশ -৮ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর এ ঘটনার তদন্তে নেপালের সরকার ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। বাংলাদেশ থেকে তদন্তে যুক্ত হয় ৬ সদস্যের একটি দল।
এ কমিশন প্রত্যক্ষদর্শী, উদ্ধারকর্মী ও অন্যান্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে আরও বলা হয়েছে, বিমান ও পাইলটদের লাইসেন্সের তথ্য পাওয়া গেছে, যা নিরীক্ষা শেষে মূল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হবে।
এদিকে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়। যেখান থেকে অনেকেই ধারণা করেছিলেন পাইলট এবং কন্ট্রোল টাওয়ার এর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল।
মি. রহমতুল্লাহকে এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
“বলেছিল ওকে ক্লিয়ার টু ল্যান্ড রানওয়ে টু জিরো, তখনই কিন্তু আবার কারেকশন করে বলেছে কারেকশন জিরো টু। দিস ইজ এ নরমাল সিনারিও”।
বিমানের ব্ল্যাকবক্সসহ অন্যান্য অংশ “ট্রান্সপোর্ট সেফটি বোর্ড অব কানাডায়” পাঠানো হয়েছে।
সেখানে থেকে প্রাপ্ত তথ্যও মূল প্রতিবেদনের যোগ করা হবে। সেই প্রতিবেদন পেতে এক বছর সময় লাগবে।
যদি এক বছরের মধ্যে না দিতে পারে তাহলে একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর আপডেট তথ্য দিতে হবে বলে, বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটি জানায়।খবর বিবিসি।