নড়াইলের ডহর চাঁচুড়ী গ্রামে সংখ্যালঘু ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে জখম,আতঙ্কিত হিন্দু সম্প্রদায়
উজ্জ্বল রায়ঃ জমা নিয়ে বিরোধের জেরে সংখ্যালঘু ব্যবসায়ীর ওপর হামলা চালিয়ে রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে বখাটে দুই যুবক। চাঁচুড়ী ইউনিয়নের ডহর চাঁচুড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত সুব্রত কুমার বিশ্বাস (৩০) প্রথমে নড়াইল সদর হাসপাতালে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ভূক্তভোগি পরিবারটি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। একই সঙ্গে এ হামলার ঘটনায় এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। শুক্রবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে
উপজেলার চাঁচুড়ী ইউনিয়নের ডহর চাঁচুড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভূক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ডহর চাঁচুড়ী গ্রামের মৃত.সচীন বিশ্বাসের পুত্র সুব্রত বিশ্বাসের প্রতিবেশি শামুল মোল্যার ছেলে প্রভাবশালী মিল্লাত ও তার সহোদর জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়ার মোল্যার সঙ্গে বসতভিটার জমি নিয়ে মামলা-মকদ্দমা চলে আসছিল।
উক্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে মিল্লাত ও জিয়ার মোল্যা তার পক্ষীয় লোকজনকে নিয়ে চাঁচুড়ী বাজারের ডিম ব্যবসায়ী সুব্রত বিশ্বাস ব্যবসায়ীক কাজ শেষে শুক্রবার বিকালে বাড়ি ফেরার পথে একই গ্রামের বাবুল মোল্যর বাড়ির নিকট পোঁছালে তার ওপর হামলা করে রড ও ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। পরে স্বজনরা গুরুত্বর আহত অবস্থায় সুব্রতকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
এ ব্যাপারে চাঁচুড়ী ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সভাপতি নাজির মোল্যা এ বিষয়ে নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, সুব্রত বিশ্বাসের বসভিটা থেকে বাইরে বের হওয়ার একমাত্র রাস্তাটির জায়গা নিয়ে শামুল মোল্যার ছেলে জিয়ার মোল্যার সঙ্গে বিরোধটি গ্রাম্য সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করা হলেও তারা (জিয়ার মোল্যা) মানেনি। বিধায় বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন। কিন্তু অসহায় সংখ্যালঘু সুব্রত বিশ্বাসের ওপর বর্বর হামলার ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক। আমারা এর নিন্দা ও তদন্ত সাপেক্ষে
সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।’
একই প্রসঙ্গে নড়াইলের কালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শমসের আলী এ বিষয়ে নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা
হবে।থানার ছবি সংযুক্ত
