বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে ‘সেই শক্তিধর’ দেশ
স্টাফ রিপোর্টারঃ মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানকে সমর্থনকারী ‘শক্তিধর দেশের’ শিকার হয়েই বঙ্গবন্ধুকে জীবন দিতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধুর ৯৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “তখনকার দিনে বিশ্বে দুটি ভাগ ছিল। যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সমর্থন করে নাই, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সমর্থন করেছিল, তাদেরও তো ষড়যন্ত্র ছিল।
“তাদের কথা কেউ শুনল না, দেশ স্বাধীন হয়ে গেল। পাকিস্তান আমাদের মুক্তিযুদ্ধে পরাজয় বরণ করল। বিশ্বে অনেক শক্তিধর শক্তি সাথে থেকেও তাদের জেতাতে পারল না। এই পরাজয় অনেকে সহজে মেনে নেয়নি।”
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন দুই পরাশক্তির একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিল। দেশটি পাকিস্তানকে অস্ত্রও সরবরাহ করেছিল।
তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের সামরিক সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস ভারতে প্রায় এক কোটি শরণার্থী আশ্রয় নেয়। প্রবাসী বাংলাদেশি সরকারের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতো কোলকাতা থেকে। মুক্তিযোদ্ধারা ভারতেই প্রশিক্ষণ নিতো।
যুদ্ধের একবারে শেষ দিকে নিজ দেশের নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে বঙ্গোপসাগরে সপ্তম নৌবহর পাঠানোর ঘোষণা দেয় আমেরিকা। জবাবে, সোভিয়েত ইউনিয়নও তাদের নৌবহর পাঠানোর ঘোষণা দিলে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে যায় যুক্তরাষ্ট্র।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিকালে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা বলেন, “তাই তাদের ষড়যন্ত্র চলছিল। আর সেই ষড়যন্ত্রের শিকার হল, জাতির পিতা ১৯৭৫ এর ১৫ অগাস্ট।”
১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার কথাও উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগ প্রধান।