সব

‘গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করে কোন স্বৈরশাসকের শেষ রক্ষা হয়নি’

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Wednesday 8th August 2018at 8:24 pm
166 Views

স্টাফ রিপোর্টারঃ সড়ক নিরাপত্তার দাবিতে ছাত্র বিক্ষোভের সময় কর্তব্যরত ৪০ জন সাংবাদিকের ওপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)’র বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

আজকের (০৮ আগস্ট) সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা শনিবারের মধ্যে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। তা না হলে আগামী রোববার (১২ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রাজপথে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, হামলা চালিয়ে, হত্যা-নির্যাতন চালিয়ে সাংবাদিক সমাজকে স্তব্ধ করা যাবে না। গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করে কোন স্বৈরশাসকের শেষ রক্ষা হয়নি।

বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন- বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী। ডিইউজে’র সহ-সভাপতি শাহীন হাসনাতের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বিএফইউজে’র মহাসচিব এম. আবদুল্লাহ, ডিইউজে’র সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, বর্তমান যুগ্ম-সম্পাদক ইলিয়াস খান, ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাবেক সভাপতি একেএম মহসিন, ডিইউজে বাসস ইউনিটের প্রধান আবুল কালাম মানিক, দিনকাল ইউনিটের ডেপুটি প্রধান রাশেদুল হক, ডিআরইউ’র সাবেক সহ-সভাপতি জিয়াউল কবীর সুমন, সাবেক অর্থ সম্পাদক কামরুজ্জামান কাজল, ডিইউজে’র নেতা এইচ এম আল আমীন প্রমুখ। অন্যান্যের মধ্যে মিছিল ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন- সাংবাদিক নেতা নূরুল আমিন রোকন, সাদ বিন রাবি, শফিউল আলম গ্যালমান, জাকির হোসেন, নাসিম শিকদার, কবি রফিক হাসান প্রমুখ।

রুহুল আমীন গাজী বলেন, এ সরকার সাংবাদিকদের কলম স্তব্ধ করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চায়। সরকারের সেই স্বপ্ন পূরণ হবে না।

‘সরকার কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যেভাবে প্রতারণা করেছে সেভাবে শিক্ষাথীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সাংবাদিক সমাজ দমন নিপীড়নের বিরুদ্ধে যে লড়াই করছে তা অব্যাহত থাকবে।”

এম. আবদুল্লাহ বলেন, “প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রীরা সন্ত্রাসীদের হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন, তাদের হুকুমেই হামলা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের আস্কারা দেওয়ার পরিণাম শুভ হবে না।” তিনি বলেন, “এক সপ্তাহে রাজপথে ৪০ জন সাংবাদিকের রক্ত ঝরিয়ে বিশ্বব্যাপী যে ধিক্কার কুড়িয়েছে তাতে সরকারের লজ্জিত হওয়া উচিত।”

কাদের গণি চৌধুরী বলেন, “সরকারি দলের ক্যাডারদের বর্বরতায় আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন, অথচ এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। সাংবাদিকরা এক দফার সংগ্রাম শুরু করলে কেউ রেহাই পাবে না।”

মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, “সাংবাদিকদের রক্তাক্ত করে তথ্যমন্ত্রী চিঠি চালাচালির নাটক করেছেন। নাটক বন্ধ করে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনুন।”

সারাদেশে বিক্ষোভ

এদিকে বিএফইউজে ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন, খুলনাসাংবাদিক ইউনিয়ন, যশোরসাংবাদিক ইউনিয়ন, বগুড়াসাংবাদিক ইউনিয়ন, কক্সবাজার, কুমিল্লা জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন, সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুর, সাংবাদিক ইউনিয়ন ময়মনসিংহ, সাংবাদিক ইউনিয়ন গাজীপুর’সহ সারাদেশে সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো একযোগে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র দফতর সম্পাদক আবু ইউসুফ স্বাক্ষরিত এক প্রেসবার্তায় এইসব তথ্য জানানো হয়।


সর্বশেষ খবর