বন্ধ্যাত্ব দূর করবে আকুপাংচার !
স্টাফ ডেস্ক ঃ আকুপাংচার পদ্ধতিতে চিকিৎসার ফলে নারীদের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় বলে দাবি করেছেন একদল গবেষক। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে আকুপাংচার। এর পাশাপাশি জরায়ুর সংকোচন হ্রাস এবং হরমোনের চাপ নিয়ন্ত্রণেও এটি অনেক বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখে।
সৌদি আরবের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম আবর নিউজে গতকাল রোববার ওই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই গবেষক দলের নেতৃত্ব দেন জেদ্দার ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক ডা. ম্যাথিউ ট্র্যাচে।
গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নারীদের প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে আকুপাংচার। এর পাশাপাশি পুরুষদের স্পার্ম কোষের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখে এই প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি।
এতে বলা হয়েছে, পুরুষের স্পার্ম কোষের উন্নয়নের জন্য আকুপাংচার পদ্ধতিতে ৮ সপ্তাহের চিকিৎসা নিতে হয়। প্রতি সপ্তাহে ২টি সেশনে ভাগ করে এই চিকিৎসা দেওয়া হলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এই পদ্ধতিতে গবেষণার ফলাফলে ৪০ শতাংশ থেকে ৬৬ শতাংশ পর্যন্ত সফলতা পাওয়া গেছে।
ব্যথা ও রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত প্রাচীন চৈনিক একটি চিকিৎসাপদ্ধতির নাম আকুপাংচার। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সরু লম্বা সুই ফুটিয়ে চিকিৎসা করা হয়। অনেক আগে চীনা চিকিত্সাবিদ্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল আকুপাংচার। চিকিত্সা পদ্ধতি হিসেবে আবিস্কৃত হলেও পরে বিজ্ঞানের স্বীকৃতি পায় আকুপাংচার।
প্রাচীন বই-পুস্তকে আকুপাংচারের যন্ত্রপাতি ছিল হাড় নির্মিত। চার থেকে আট হাজার বছর আগে অর্থাৎ গোত্র সমাজের শেষ ভাগে এ ধরণের যন্ত্রপাতি দেখা গেছে। প্রত্নতাত্তিক আবিস্কারের সময় হাড়ের সূঁচ পাওয়া গিয়েছিল। দুইন ছিউ ঝুও শি চুয়ান নামক গ্রন্থে আকুপাংচারের বিষয়ে প্রথমবার বিশ্লেষণ করেন ডা.ই. হোয়ান।
১৯৪৯ সালের পর আকুপাংচারের অনেক উন্নতি হয়। বিভিন্ন গবেষণায় এই চিকিৎসা পদ্ধতির বিষয়ে অনেক মূল্যবান তথ্য পাওয়া গেছে। দীর্ঘ সময়ের গবেষণার পর ড. চ্যান বলেন, আকুপাংচার পদ্ধতি সত্যিই কাজে আসে- এমন কোনো প্রমাণ নেই। কিস্তু তাই বলে এগুলো একেবারে আশাহতও করে না। এ পদ্ধতির সঙ্গে উপদেশনার যোগ থাকলে তা খুব কার্যকর হয়ে উঠতে পারে। তবে এটি খুব ব্যয়বহুলও হতে পারে।