যোগ্যতা ও মেধার মূল্যায়ন করবে জনগণঃ এডভোকেট সিমকী ইমাম খান
স্টাফ রিপোর্টারঃ আমি এক কথার মানুষ। কখনো মানুষকে মিথ্যা আশ্বাস দেইনি বা দিতে পারবো না। আর এমন কথা আমি বলবো না, যে কথা আমি রাখতে পারবো না। তবে হ্যাঁ আমি এটা বলতে পারি আমাদের আগামীর ভবিষ্যত কোমলমতি শিশুদের সুশিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষে আমার বাবার প্রতিষ্ঠা করার স্কুলে একাধিকবার সভাপতি হয়েছি, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করেছি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট সিমকী ইমাম খান।
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া-সলঙ্গা) আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। একান্ত সাক্ষাৎকার জানিয়েছেন এসব কথা।
নির্বাচিত হলে এলাকার জনকল্যাণে কাজ করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, এলাকায় মসজিদ সহ বহু উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। যা উল্লাপাড়ায় একবার এলেই আপনাদের চোখে দৃশ্যমান হবে। এলাকার জনগণ যদি আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তাহলে আমি উল্লাপাড়ায় স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনসহ ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করবো ইনশাআল্লাহ। যার মাধ্যমে এলাকার মানুষ আধুনিক নগরীর সুবিধা সিরাজগঞ্জে বসেই পেতে পারেন।
যখন নিজেকে সফল মনে হলো তখন চিন্তায় আসল দেশের জন্য কিছু করার এমনটা জানিয়ে সিমকী ইমাম খান বলেন, কলেজ লাইফে আমার বিয়ে হয় তারপর সংসারের পাশাপাশি লেখাপড়া চালিয়ে মাস্টার্স করেছি। এলএলবি সম্পন্ন করে আইনজীবী হয়েছি। এক সময় হাউজ ওয়াইফ থাকলেও পরবর্তীতে নিজেকে আইন পেশা ও ব্যাবসা পরিচালনা করেছি। আইন পেশা, ব্যবসা এবং সংসার সবমিলিয়ে যখন নিজেকে সফল মনে হলো তখন চিন্তায় আসল দেশের জন্য, নিজের এলাকার জন্য কিছু করা দরকার। মূলত তখন থেকে আমি রাজনীতিতে পুরোপুরিভাবে সক্রিয় হই এবং এলাকাবাসীর জন্য জনসেবামূলক কাজ করছি। সেই জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে সিদ্ধান্ত নেই যে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে আমি আমার এলাকা সিরাজগঞ্জ-৪ থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রার্থী হবো। এবং বিজয় লাভ করে জনসেবা করে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেব। এ কারণেই আমি প্রার্থী হয়েছি।
দলের বিপদের মুহূর্তে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন জানি তিনি বলেন, একটি নির্বাচনী এলাকাতে এক বা একাধিক প্রার্থী থাকতেই পারেন। এটা গণতন্ত্রের একটি সৌন্দর্য। তবে আমি হলফ করে বলতে পারি; এলাকায় আমার জনপ্রিয়তা, তৃণমূল পর্যায়ে কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ, দলের বিপদের মুহূর্তে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া, সরকারের জুলুম নির্যাতন, মামলা মোকদ্দমায় বিনা পয়সায় কর্মীদের মামলা পরিচালনা তাদের জামিনের ব্যবস্থা করাসহ সুখে-দুঃখে তাদের পাশে থাকায় সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের বিএনপির প্রার্থী হিসেবে লোকমুখে আপনারা অবশ্যই সিমকী ইমাম খানের নামই সবচেয়ে বেশি শুনবেন ইনশাআল্লাহ।
অন্য প্রার্থীদের তুলনায় নিজেকে দলের কাছে বেশি যোগ্য বলে মনে করছেন জানিয়ে সিমকী ইমাম খান বলেন, দেখুন, যে ছাত্র কঠোর পরিশ্রম করে লেখাপড়া করে পরীক্ষার হলে গিয়ে পরীক্ষা দেয় সে ছাত্র শিক্ষকের নিকট থেকে ভালো ফলাফল আশা করতেই পারে এটাই স্বাভাবিক। আমরা দলের দুর্দিনে জীবন বাজি রেখে সংসার, সমাজ, ব্যবসা-বাণিজ্য সব কিছুকে তুচ্ছ করে দলের জন্য কাজ করেছি, এখনো করছি এবং ভবিষ্যতেও করব। আমার নির্বাচনী এলাকার অন্যান্য প্রার্থীর চেয়ে বহুগুণে দলের এই দুঃসময়েও আমি দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সুতরাং অন্য প্রার্থীদের চেয়ে আমি নিজেকে বেশি যোগ্য প্রার্থী বলে মনে করছি।
বর্তমান স্বেচ্ছাচারী সরকারের জুলুম, নির্যাতন, হামলা-মামলা থেকে মুক্তি পেতে দেশের জনগণ আজ উদগ্রীব হয়ে মুক্তির অপেক্ষায় আছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান স্বেচ্ছাচারী সরকারের জুলুম, নির্যাতন, হামলা-মামলা থেকে মুক্তি পেতে দেশের জনগণ আজ উদগ্রীব হয়ে মুক্তির অপেক্ষায় আছে। তাই তারা বিএনপিকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চায়। পাশাপাশি জনগণ চায় যোগ্যতম মানুষকে ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেখতে। সেই হিসেবে এলাকার জনগণের কাছে আমি সিমকী ইমাম খান তাদের আত্মার আত্মীয় হয়ে গেছি। কারণ তারা যে যেভাবে চেয়েছে আমি সেভাবেই তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। সুতরাং দল ও ব্যক্তি হিসেবে আমার এলাকার জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে ইনশাআল্লাহ।