নড়াইলের পুলিশের প্রাণ এখন জসিম উদ্দিন, পিপিএম
উজ্জ্বল রায়, ঃ পুলিশ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন,(পিপি,এম) এই দুটি নামের মাঝে নেই যেন কোনো পার্থক্য বিদ্যমান।
পুলিশের এই স্বনামধন্য কর্মকর্তার হাত ধরে নড়াইল পুলিশ এগিয়ে গেছে অনেক দূর।
আধুনিক ও জনবান্ধব এই পুলিশ কর্মকর্তা পুলিশ বাহিনীর সকল সুবিধা, অসুবিধা সকল কিছুতেই তীক্ষè নজর রাখেন। নিজ বাহিনীর কল্যাণে এই জনপ্রিয় পুলিশ অফিসারের উদ্যোগে একের পর এক পুলিশের নানা সমস্যার নিরসন হয়েছে।
নড়াইল জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় শান্তির শপথে বলীয়ান যে পুলিশ সদস্যরা দিনরাত নড়াইলবাসীর নিরাপত্তা বিধানের জন্য কাজ করতে গিয়ে শহীদ হচ্ছেন, মৃত্যুবরণ করছেন তাঁদের লাশ প্রিয়জনের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইতিপূর্বে ছিলোনা তেমন কোন পরিবহন সুবিধা, এই মহতী পুলিশ সুপারের উদ্যোগে অবসান ঘটলো সেই সমস্যারও। কিছুদিন আগে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন,পিপিএম পুলিশকে এই লাশবাহী গাড়িটি হস্তান্তর করেছেন।
এ সময় পুলিশের আরো বিভিন্ন শাখার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণও উপস্থিত ছিলেন। সংক্ষেপে জেনে নিন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম এর কিছু পুলিশবান্ধব কর্মকান্ড
(১) পুলিশের অবদানকে স্মরণীয় ও চিরস্থায়ী করে রাখতে দায়িত্ব পালনকালে নিহত পুলিশ সদস্য পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান।
(২) মহানুভব ও শিক্ষানুরাগী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি তিনি নড়াইল পুলিশ লাইন্স স্কুল আধুনিকায়ন করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
(৩) নড়াইলে উন্নয়ন মেলায় পুলিশের স্টল এবার ২য় স্থান অধিকার করেছে।
(৪) নড়াইল জেলায় ১৬ বছরের পুরাতন নর্দমাকে সংস্ক্রা করে দৃষ্টিনন্দন পুলিশ মৎস্য অ্যাকুরিয়াম তৈরির মতো মহান কাজও তিনিই সম্পন্ন করেন, যা দেখতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য দর্শনার্থী ও মৎস্যপ্রেমিরা প্রতিনিয়ত ভিড় জমাচ্ছেন।
(৫) পুলিশের পেনশন সংক্রান্ত সম্যসা নিরসনে তার প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে ।
(৬) ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ এর উদ্ভোধন করেন তিনি।
(৭) জেলার পুলিশ সুপার থাকা অবস্থায় মাইকিং করে বিনা টাকায় পুলিশের চাকরির ব্যবস্থা করেন।
(৮) ফোর্সদের আবাসন সমস্যা সমাধান সহ নানা ধরণের সুযোগ এর ব্যবস্থা হয় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম এর হাত ধরেই। পুলিশ লাইনে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রেখে উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থাও করেছেন তিনি।
(৯) পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতে প্রত্যেকদিন বিকাল ৫টায় পুলিশ লাইন মাঠে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম।
(১০)মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নড়াইলের ৪টি থানায় বৃক্ষরোপন কর্মসূচি বাস্তবায়নে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
(১১) ঢ্কাা ডিএমপিতে কর্মরত থাকাকালীন অবস্থায় কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য, পিপিএম উপাধি লাভ ও পুরস্কার গ্রহণ।
(১২) পুলিশে পোস্টিং জটিলতা সহ ঘুষ বাণিজ্য বন্ধে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এই মহৎ মানুষটির সকল কাজ সঠিকভাবে সম্পাদনের জন্য তাঁকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে চলেছেন নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, পিপিএম, সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মেহেদী হাসান, সহকারি পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার্স) মোঃ জালাল উদ্দিন, সহকারি পুলিশ সুপার (প্র.বি) ইশতিয়াক হোসেন, নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন, নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমানসহ অনেকে। এছাড়াও কমিউনিটি পুলিশ গঠনের মাধ্যমে পুলিশের সেবাকে জনগণের দাঁড়গোড়ায় পৌঁছে দেওয়া সহ খুঁটি নাটি অনেক বিষয়েই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম এর প্রত্যক্ষ পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে।
নড়াইলের পুলিশ সুপারের হাত থেকে রেহাই পাইনি এস,আই মানিক ॥ ১১০পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেফতার করে মামলা নং-১১, তারিখ ৬.১০.২০১৮। আদালতে সোপর্দ করে ।