সব

রাজনীতির রাজকাহন (পর্ব-১)

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Wednesday 10th October 2018at 2:45 pm
FILED AS: মতামত
122 Views

আমার জন্ম নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার পাঁচুড়িয়া গ্রামে। ১৯৫৮ সনের ১০ জানুয়ারী এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম। পাঁচুড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশোনা করি। ১৯৬৭ সনে ঢাকায় আজিমপুরে ওয়েষ্ট এন্ড হাই স্কুলে ৫ম শ্রেণীতে ভর্তি হই এবং একই স্কুল হতে ১৯৭৩ সনে এসএসসি পাশ করি। পরবর্তীতে ঢাকা কলেজে হতে এইচএসসি শেষ করি। উক্ত সময়ে স্কুল ও ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের ছাত্র-রাজনীতির সংগে জড়িত হই। সে সময় ঢাকা কলেজের ভিপি ছিলেন মরহুম সাংসদ হেমায়েত উল্লাহ আত্তরঙ্গ। ১৯৭৫ সনে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের পর অনেক হতাশা ও দূর্যোগের মধ্যে পড়ে যাই। যাহোক অনেক চরাই উৎরাই পার হতে হয়। জীবিকার অন্নেষনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন্ড অফিসার হিসাবে ১৯৭৮ সনে যোগদান করি। ২০০৮ সনের ০৯ জানুয়ারী প্রায় ৩০ বছর সততার ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে স্বাভাবিক অবসর গ্রহন করি।

বিশেষ উল্লেখ্য আমার বড় খালু মুন্সী ওয়ালী উর রহমান অবিভক্ত বাংলার এম এন এ ছিলেন। তিনি ব্রিটিশ আমলে যশোর জেলা বোর্ড এর সভাপতি ছিলেন। ১৯৪৮ সনে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। আমার খালাতো ভগ্নিপতি (মুন্সী ওয়ালী উর রহমানের জামাতা) মরহুম খন্দকার আব্দুল হাফিজ ১৯৭০ সনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এম এন এ এবং ১৯৭৩ সনে স্বাধীন বাংলাদেশের এমপি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট মেম্বার ছিলেন। আমার বড় চাচা মরহুম সৈয়দ মহসীন আলী বঙ্গবন্ধুর সাথে সরাসরি রাজনীতি করেছেন এবং ১৯৫৪ সনে যুক্তফ্রষ্ট এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সেই সময় নড়াইল মহকুমা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। ১৯৭১ সনে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন।

যেহেতু আমার পরিবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সেহেতু সেনাবাহিনীতে চাকুরীরতাবস্থায় সঠিক মূল্যায়ন পাইনি বলে প্রতীয়মান। সেজন্য আমার কোন দুঃখ নেই। আমার বয়স বর্তমানে ৬১ বছর। অবসর গ্রহনের পরেই ২০০৮ সনে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম পুরাতন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করি। লোহাগড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার সকলের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগদান করি। অদ্যবধি সে হিসাবেই তৃনমূলে আস্থাভাজন হিসাবে সুপরিচিত।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। সেই ধারাবাহিকতায় নড়াইল উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কন্যার নিজ জেলা হিসাবে পরিচিত নড়াইলবাসীর জন্য নেত্রীর অনেক চিন্তা চেতনা রয়েছে। নড়াইল জেলার সার্বিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কন্যার সার্বিক উন্নয়নে প্রকল্পে বিগত ১০ বছর ধরে আমি নিজেকে নড়াইল উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট রেখেছি এবং আগামীতেও আমার প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

বিগত ১০/১২ বছর নড়াইলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। আমার সীমিত মেধা, যোগ্যতা ও সকলের ভালবাসায় নড়াইল জেলার সার্বিক উন্নয়নে সর্বদাই ব্যস্ত থাকি। যেহেতু আমি কোন চাকুরী/ব্যবসা বাণিজ্যের সাথে জড়িত নেই সেহেতু আমার সময়টুকু সার্বক্ষনিকভাবে নড়াইল জেলার উন্নয়ন তথা ভৌত অবকাঠামো, শিক্ষা, সাংস্কৃতি ও খেলাধুলার সঙ্গে নিজেকে সম্পূর্ণ রূপে নিয়োজিত রাখতে সক্ষম হয়েছি। রাজনীতির মুখ্য উদ্দেশ্যই হলো জনসেবা করা। আমি সেই কাজটিকে প্রধান্য দিয়ে থাকি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকান্ডকে প্রসারিত করার লক্ষে সর্বদা নিবেদিত থাকি। সকলে আর্শিবাদ করবেন যেন সুস্থ থেকে নড়াইলবাসীর আর্থ সামাজিক উন্নয়নের লক্ষে আজীবন সম্পৃক্ত রাখতে পারি।

লেঃ কর্ণেল সৈয়দ হাসান ইকবাল (অব.)
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা এবং
জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন ও তৃণমূলের বিশ্বাস ভাজন
মোবাইলঃ ০১৭১৬-৩৭৮৪৭৪
email- hasaniqbal1789@hotmail.com


সর্বশেষ খবর