ভারতীয় পণ্যের আমদানি খরচ এখনো কমেনিল্ন
আমারবাংলাঃ রূপির বিপরীতে টাকার মান শক্তিশালী হলেও বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্যের আমদানি খরচ এখনো কমেনি। ডলারভিত্তিক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের কারণেই রূপির অবমূল্যায়নের সুবিধা স্বল্প সময়ে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ভারতীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার বিষয়টি সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এদিকে একই পরিমাণ টাকায় আগের তুলনায় বেশি রূপি পাওয়ায় সন্তুষ্ট ভারতগামী বাংলাদেশী ভ্রমণকারীরা।
আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে ভারত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অংশীদার। দুইদেশের বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ কাগজে কলমে প্রায় ৯শ’ কোটি ডলার। যদিও এরমধ্যে বাংলাদেশের আমদানিই ৮ শ’ কোটি ডলারের বেশি। এমন বাণিজ্যিক অসমতার মধ্যেই ভারতীয় মুদ্রা রূপির বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছে টাকা।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে একশ’ রূপি কিনতে খরচ হতো ১শ’ ৩০ টাকা আর বর্তমানে লাগছে ১শ’ ১৪ টাকা। সরল অংকের হিসাবে মুদ্রাবাজারে বাংলাদেশের টাকার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশে আমদানি করা ভারতীয় পণ্যের দাম কমার কথা।
মাতলুব আহমাদ (সাবেক সভাপতি, এফবিসিসিআই) বলেন, ডলারের উঠানামার জন্য আমাদের চায়নার সাথে আর এনবিতে এলসি খোলার একটা পারমিশন সরকার অলরেডি দিয়ে দিয়েছে। একইভাবে যদি ভারতের যদি ভারতের আই আর এসে খোলা যায় তাহলে হয়ত আমাদের জিনিসের দাম আমরা কমিয়ে আনতে পারব।
গত দশমাসে ডলারের বিপরীতেও রূপি দর হারিয়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিনিময় হারের এমন ওঠানামর প্রভাব কমাতে, অনেক দেশই এখন ডলার নির্ভরতা ত্যাগের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। বাংলাদেশেরও এমন পথেই হাঁটা উচিৎ বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
ভারতের মুদ্রাবাজারে সেদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোন হস্তক্ষেপ করছে না এমন মন্তব্য করে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রপ্তানি চাঙ্গা করতেই হয়তো কমানো হয়েছে রূপির মান।
অর্থনীতিবিদ ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, এটি একটি সাময়িক পরিস্থিতি, খুব স্বল্পকালে এখান থেকে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকরা সুবিধা নিতে পারেন।
এদিকে একই পরিমাণ টাকায় আগের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বাড়তি রূপি পাওয়ায় ভারতে যারা ভ্রমণ বা চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন তাদের প্রাপ্তিটা সরাসরি।
সবশেষ ২০১৩ সালে টাকা ও রূপির বিনিময় মূল্য এখনকার পর্যায়ে পৌছেছিলো। যদিও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।