সব

জেরুজালেমে দূতাবাস খুলবে অস্ট্রেলিয়া

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Tuesday 16th October 2018at 11:02 am
112 Views

 

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করে তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তর করার ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। মঙ্গলবার এক ঘোষণায় এমনটাই জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। খবর এএফপি, এপি’র।

মরিসন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি এবং সেখানে অস্ট্রেলিয়ার দূতাবাস স্থানান্তরের প্রস্তাবের ব্যাপারে তিনি ‘উদার’। মরিসনের এ ধরনের ঘোষণার মধ্য দিয়ে অস্ট্রেলিয়া সরকারের দীর্ঘ দিনের নীতির স্পষ্ট পরিবর্তন পরিলক্ষিত হলো।

তিনি বলেন, আমরা দুই রাষ্ট্র সমাধান সূত্রের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, কিন্তু সত্যি বলতে কি এটা ঠিক মতো এগোচ্ছে, খুব একটা অগ্রগতি হয়নি এবং আপনি একই জিনিস বারবার করে ভিন্ন ফল আশা করতে পারেন না।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জেরুজালেমকে স্বীকৃতি এবং সেখানে তার দেশের দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার প্রস্তাবকে ‘সংবেদনশীল’ ও ‘প্ররোচণামূলক’ উল্লেখ করে বলেন, সরকার এটি বিবেচনা করে দেখবে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি আসনে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপনির্বাচনের কয়েকদিন আগে মরিসন এই অপ্রত্যাশিত ঘোষণা দিলেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ ইহুদি অধ্যুষিত ওই আসনে মরিসনের লিবারেল পার্টির প্রার্থী ও ইসরায়েলে সাবেক অস্ট্রেলীয় দূত পিছিয়ে আছেন বলে মতামত জরিপে দেখা যাচ্ছে।

কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই উপনির্বাচনে পরাজিত হলে পার্লামেন্টে এক আসনের যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে তা হারাবে মরিসনের দল।

বিরোধী লেবার পার্টির বিদেশ নীতি বিষয়ক মুখপাত্র পেনি ওং বলেন, নিজের চাকরি বাঁচাতে স্কট মরিসন এখন মরিয়া, আরও কয়েকটি ভোট পাবেন আশা থেকেই তিনি যেকোনো কিছু বলতে প্রস্তুত; আর সেটি যদি অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়েও হয়।

লিবারেল পার্টির কঠোর রক্ষণশীলদের বিদ্রোহের মুখে তুলনামূলক মধ্যপন্থী প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলকে উৎখাতের পর গত মাসে ক্ষমতায় বসেন মরিসন।

জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে স্পষ্ট দূরত্ব বজায় রেখেছিল টার্নবুল সরকার। তারা সেসময় এটিকে শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য ‘অসহযোগিতাপূর্ণ’ হিসেবে বর্ণনা করেছিল।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৪ মে ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করা হয়। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের ‍মিত্ররা পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত বর্জন করে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভের ঝড় ওঠে। ওইদিন গাজায় বিক্ষোভে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৫২ জন নিহত হয়।

 


সর্বশেষ খবর