রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ব্যারিস্টার মইনুলকে আটক
স্টাফ রিপোর্টারঃ মানহানির মামলায় নয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তাঁর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
গতকাল সোমবার রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘মাসুদা ভাট্টি মানহানির মামলা করেন। আরো দুজন মহিলা মামলা করলেন সম্পূর্ণভাবে বেআইনিভাবে।
আমি মনে করি এটা মানহানির মামলা না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য দেশের গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি হিসেবে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
এর আগে গতকাল রাত ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরা থেকে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও ইংরেজি দৈনিক নিউ নেশনের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহাবুব আলম জানান, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে নিয়ে মানহানিকর উক্তির অভিযোগে রংপুরে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।
এ মামলায় পুলিশ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে জেএসডির সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আবদুর রবের উত্তরার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে।
রাত ১০টার দিকে ব্যারিস্টার মইনুলকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে হাজির হন ব্যারিস্টার মইনুরের আত্মীয়-স্বজন ও আইনজীবী।
গত ১৬ অক্টোবর একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।
এরপর তাঁর বিরুদ্ধে গত রোববার ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালতে মানহানির মামলা করেন মাসুদা ভাট্টি। একই অভিযোগ এনে জামালপুর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে আরেকটি মামলা হয়।
যদিও মামলা দুটিতে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন ব্যারিস্টার মইনুল। তবে গতকালও তাঁর বিরুদ্ধে রংপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ভোলা ও কুড়িগ্রামে মামলা হয়েছে। এরমধ্যে একাধিক মামলায় পরোয়ানা জারি করেন আদালত।