সব

জনগণ সঙ্গে আছে তাই বিজয়ের মাধ্যমে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন করব- পরিকল্পনামন্ত্রী

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Saturday 27th October 2018at 10:57 pm
101 Views

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সারা বিশ্বের পুলিশি কার্যক্রমে কমিউনিটি পুলিশিং একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থাপনা। জনগণকে পুলিশের কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্তকরার মধ্য দিয়ে অপরাধ রোধ, অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণ করে শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ সমাজ ব্যবস্থার লক্ষ্যে বাংলাদেশে ব্যাপকভিত্তিককমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। প্রথমে রাজশাহী রেঞ্জের ১৬টি জেলার তিনটি পর্যায়ে কমিউনিটি পুলিশিং কমিটিগঠনের মাধ্যমে এর কার্যক্রম শুরু হলেও ধীরে ধীরে তা দেশের সব বিভাগ, জেলা ও থানা পর্যায়ে শুরু হয়। প্রত্যেক থানায় স্থানীয়ভাবেসর্বজন স্বীকৃত গণ্যমান্য ব্যক্তিকে সভাপতি করে কমিটি গঠন করে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম চালু করা হয়। মাদক, জুয়া, নারীনির্যাতন, হত্যা, চুরি ডাকাতিসহ সমাজের দাগি অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কার্যক্রমে জনগণের অংশীদারত্ব তৈরি করাই কমিউনিটিপুলিশিংয়ের মূল লক্ষ্য।কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ এবং সাধারণ জনগণের মাঝে পারস্পরিক আস্থা ও সম্পর্কের সেতুবন্ধনতৈরি হচ্ছে। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্কের দূরত্ব কমছে। আর কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমেএটি সম্ভব হচ্ছে। আমরা এমন একটি পুলিশ বাহিনী তৈরি করতে চাই, যার জনগণের কাছে জবাবদিহিতা থাকবে। আজ শনিবার (২৭ অক্টোবর, ২০১৮) বিকেলে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা হেলিপ্যাড মাঠে নাঙ্গলকোট উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশ ২০১৮ ও উন্নয়নমূলক সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে নানা প্রকার অপকর্ম থেকে নিজেসহ অপরকে বিরত রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানঅতিথির বক্তব্যে মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এফসিএ, এমপি এসব কথা বলেন।

মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন,বর্তমান পুলিশের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মাদক এবং জঙ্গিবাদ দমন করা। জঙ্গিবাদের সঙ্গেইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। মানুষকে মেরে ইসলাম কায়েম কোনো ধর্ম নয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য এলাকার জনগণ এবংকমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যরা মিলে কাজ করছেন। সামাজিক দায়বদ্ধতা ও দায়িত্ববোধ থেকে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সৃষ্টি। পুলিশেরনিজস্ব কোনো শক্তি নেই। পুলিশের শক্তি আইনের শক্তি। জনগণের কল্যাণের জন্য এসব ব্যবহার করা হয়। পুলিশ ও জনতা একত্রিত হয়েযে কোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে পারবে। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় কমিউনিটি পুলিশের মাধ্যমে পাড়া-মহল্লায় নিরাপত্তা ওনজরদারি রাখা হচ্ছে। কমিউনিটি পুলিশে নারী সদস্যরাও কাজ করছেন নিষ্ঠার সাথে। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সমাজের সবশ্রেণি-পেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে আমাদেরকেই।

আগামী নির্বাচনে জয়ের আশাবাদ জানিয়ে মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বর্তমান উন্নয়নবান্ধক সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্যে, এ ধারা অব্যাহত না রাখলে দেশ আবার পিছিয়ে যাবে, তাই সকলকেই সচেতন হয়ে আগামী নির্বাচন মোকাবেলা করতে হবে। জয় আমাদেরই হবে কেননা জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। জনগণের শক্তি নিয়েই আমরা ক্ষমতায় এসেছি, জনগণের ভোটেই আমরা ক্ষমতায় এসেছি, জনগণের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা বিশ্বাস আমাদের রয়েছে। যে উন্নয়নের ছোঁয়া আজকে সকলের জীবনে লেগেছে, নিশ্চয় তারা সেটা ধরেরাখবে এবং আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ দেবে। ইনশা আল্লাহ আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীও আমরাউদ্‌যাপন করতে পারব। আমরা না থাকলে আর কেউ ভালোভাবে করতে পারবে না। কারণ, আমারাই স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক।

বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম বলেন, জনগণ এগিয়ে এলে সমাজের যে কোনো অপকর্ম দূর করাসম্ভব। কমিউনিটি পুলিশিংকে মূল্যায়ন করতে হবে। কারণ এখানে যারা কাজ করেন, তারা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেন।

কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলাম বলেন, জনগণ তথা কমিউনিটি পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করেগ্রামগঞ্জের ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহ, ঝুঁকি পর্যালোচনা এবং প্রতিকারের সব ধরনের ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু মামলা নিয়ে, তদন্ত করে, চার্জশিটদিয়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়, সারা দেশে মাদক নির্মূল কমিটির মাধ্যমে জনগণ তথা কমিউনিটি পুলিশকে সম্পৃক্ত করে অপরাধপ্রতিহত করতে হবে। স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মাদকসহ অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধে সচেতন করতে হবে।

জঙ্গীবাদ, মাদক ও নারী নির্যাতন বিরোধী কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশে আরো  উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীর,নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন কালু, পৌরসভা মেয়র আব্দুল মালেক, উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ, নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম এবং অন্যান্য সকল উপজেলা চেয়ারম্যান, সকল পৌরসভার মেয়র, সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যাবৃন্দ।


সর্বশেষ খবর