সব

দেশের কল্যানে, উন্নত দেশের লক্ষ্যে শেখ হাসিনাকে আবারো সরকার গঠনের সুযোগ দিন: পরিকল্পনা মন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Saturday 3rd November 2018at 8:33 am
FILED AS: ধর্ম
120 Views

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার আলীশ্বর শান্তিনিকেতন বৌদ্ধ বিহারে আজ কঠিন চীবর দানোৎসব ও সম্মেলন  অনুষ্ঠিত হয়েছে। কঠিন চীবর দানোৎসব বৌদ্ধ ধর্মের একটি ধর্মীয় আচার, ও উৎসব, যা সাধারণত বাংলা চন্দ্রপঞ্জিকা অনুযায়ী প্রবারণা পূর্ণিমা বা ভাদ্র মাসের পূর্ণিমা পালনের এক মাসের মধ্যে যেকোনো সুবিধাজনক সময়ে পালন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে মূলত বৌদ্ধ ভিক্ষুদেরকে ত্রিচীবর নামে বিশেষ পোশাক দান করা হয়। ধর্মাবলম্বীগণ পূণ্যের আশায় প্রতি বছর এভাবে চীবরসহ ভিক্ষুদের অন্যান্য আনুষঙ্গিক সামগ্রীও দান করে থাকেন। আলীশ্বর শান্তিনিকেতন বৌদ্ধ বিহারের কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল এফসিএ, এমপি।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বৌদ্ধ সার্ধিকের কাহিনী বিষয়ে আলোচনা করেন। বলেন, আমি প্রতিবছর আমার নিজ এলাকায় আলীশ্বর শান্তি নিকেতনে এসে খুবই আনন্দিত। বৌদ্ধ ধর্মের মূল মন্ত্র হচ্ছে অহিসংসা পরম ধর্ম, হানাহানি কাটাকাটি নেই, জীব হত্যা নেই, জগতের সকল প্রাণী সুখী হউক। আর বাংলাদেশ হচ্ছে অসম্প্রাদিক দেশ, শান্তির দেশ। প্রতিটি ধর্ম-বর্ণের মানুষ এক হয়ে যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছে। সকলের রক্ত, লাখো শহীদের রক্ত একাকার হয়ে মিশে গেছে। মুসলিম-হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ সকল ধর্মের ‍মানুষ মিলে যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছে। স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল সকল ধর্মের মানুষ তার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে। সকলে মিলেমিশে এ দেশে বাস করবে। বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ ও দারিদ্র্যমুক্ত। এ লক্ষ্য নিয়েই বর্তমান সরকার কাজ করে চলেছে। সেজন্য আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশ উন্নত হয়। কারণ আমরা মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখি। জনগণের কল্যাণে কাজ করি।বর্তমান সরকার জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। কারণ জঙ্গিবাদের স্থান বাংলাদেশের মাটিতে হবে না। ধর্মের নাম নিয়ে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না, সে যে ধর্মেরই হোকনা কেন। আর ইসলাম শান্তির ধর্ম, সৌহার্দ্যের ধর্ম, ভ্রাতৃত্বের ধর্ম। ইসলামে জঙ্গিবাদের জায়গা নেই। যারা এসব করে তারা ধর্মবিরোধী কাজ করে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে যার যার ধর্ম সে সে স্বাধীনভাবে পালন করবে। এই পরিবেশটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আসুন সবাই মিলে একসঙ্গে দেশকে গড়ে তুলি। এভাবেই আমরা দেশকে পরিচালিত করছি। মানবতার মা শেখ হাসিনাকে আবারে দেশের কল্যানে, উন্নত দেশের লক্ষ্যে সরকার গঠনের সুযোগ প্রদান করি।আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই, সম্প্রীতি চাই। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার উন্নতি চাই। সে লক্ষ্য নিয়েই আমাদের পথচলা।

শ্রী মহৎ ধর্ম রক্ষিত মহাথেরোর সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীর, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াল এ্যাডমিরাল (অব:) আবু তাহের, মেয়র আব্দুল মালেক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার, পৌরসভা মেয়র আব্দুল মালেক এবং আওয়ামী লীগ, কৃষকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ দলীয় সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠান ঘিরে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে বৌদ্ধ পূজা ও সংঘদান, ভিক্ষু সংঘের পিন্ড দান, মঙ্গলাচরন, বৃত্তিপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেষ্ট বিতরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান মালার মধ্যদিয়ে পবিত্র কঠিন চীবন দানোৎসব ও বৌদ্ধ ধর্মীয় সম্মেলন-২০১৮খ্রিঃ অনুষ্ঠানটি পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠান সূচীর শেষে সন্ধ্যায় বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গনে বিশ্বে শান্তি কামনায় ফানুস উড্ডয়ন ও এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।


সর্বশেষ খবর