অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সম্পাদকদের সহযোগিতা চেয়েছে ঐক্যফ্রন্ট
স্টাফ রির্পোটারঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে সম্পাদকদের সহযোগিতা চেয়েছে সরকার বিরোধী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল লেকশোরে সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ সহযোগিতা চাওয়া হয়। বিকেলে বিভিন্ন গণমাধ্যম সম্পাদকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় আসলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, এমন প্রশ্নও উঠে সভায়। এর প্রশ্নের জবাবে সরকার বিরোধী জোটের অন্যতম শীর্ষনেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন ভোটে জয়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ দলই এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। সকলে মিলে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, এক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মতামত অগ্রাধিকার পাবে।
মতবিনিময় চলাকালে হোটেল থেকে বের হন আমাদের নতুন সময় পত্রিকার সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান। তিনি জানান, মতবিনিময় সভায় সাংবাদিক তৌফিক ইমরোজ খালিদী এ প্রশ্নটি করেন।
তিনি জানতে চেয়েছেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় এ ধরনের জোট করে নির্বাচন করলে সরকারপ্রধান কে হবেন সেটি আগে জনগণকে জানানো উচিৎ। কেননা জনগণের জানার অধিকার রয়েছে। পছন্দ-অপছন্দের বিষয় রয়েছে।
জবাবে কামাল হোসেন বলেছেন, ‘নির্বাচনে বিজয়ী হলে যে দল সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করবে তদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে।’
মতবিনিময় সভায় সম্পাদকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবীর, আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক জাফর সোবহান, সাপ্তাহিক বুধবারের সম্পাদক আমির খসরু, রয়টার্সের বাংলাদেশ ব্যুরো প্রধান সিরাজুল ইসলাম কাদির, এএফপির ব্যুরো প্রধান শফিকুল আলমসহ অন্যরা।
বৈঠকে ছিলেন ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন, জোটের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর; বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী; জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের ( জেএসডি) আ স ম আবদুর রব; নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।