সব

সৌদি আরবে বোরকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ!

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Monday 19th November 2018at 10:25 am
109 Views

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সৌদি আরবের কিছু নারী আবায়া বা বোরকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। ইনসাইড-আউট আবায়া-হ্যাশট্যাগ দিয়ে তারা সামাজিক নেটওয়ার্কে ছবি পোস্ট করেছেন।

এসব নারী তাদের প্রতিবাদ জানাতে আবায়া বা বোরকা উল্টো করে পরে সেই ছবি পোস্ট করেছেন।

প্রায় পাঁচ হাজার নারী এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে টুইট করেছেন বলে বিবিসির খবরে প্রকাশ। খবরে বলা হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই সৌদি আরবেই বসবাস করেন।

সৌদি নারীদের পোশাকের ব্যাপারে রয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। ঘরের বাইরে বের হতে আপাদমস্তক ঢাকা কালো রঙের বিশেষ পোশাক আবায়া বা বোরকা পরতে হয়। কিন্তু যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতায় আরোহণের পর এ ব্যাপারে ছাড়ের কথা বলেন।

গত মার্চ মাসে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছিলেন, ‘নারীরা মার্জিত এবং সম্মানজনক পোশাক পরবেন। এর মানে এই নয় যে, নারীরা আপাদমস্তক ঢাকা কালো রঙের পোশাক বা আবায়া পরবেন।’

তিনি আরো বলেছিলেন, ইসলামে আপাদমস্তক ঢাকা কালো পোশাক পরা বাধ্যতামূলক নয়। এ ব্যাপারে শরীয়া আইনটি স্পষ্ট বলেও তিনি উল্লেখ করেছিলেন।

মার্জিত এবং সম্মানজনক পোশাক বলতে কি বোঝায়? সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য আসেনি।

এছাড়া তার এই বক্তব্যের পরও নারীদের পোশাকের ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়নি এবং আনুষ্ঠানিক কোনো নির্দেশ দেয়া হয়নি।

সৌদি নারীরা সামাজিক নেটওয়ার্কে কি পোস্ট করছেন?
হাওরা নামের একজন সৌদি নারী টুইটারে লিখেছেন, আপাদমস্তক ঢাকার কালো রঙের পোশাক আবায়া উল্টো করে পরে সেই ছবি পোস্ট করে তারা রাষ্ট্রের বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। তারা নিজের চেহারা প্রকাশ করছেন না। কারণ তাদের পরিচয় প্রকাশ করলে, সেটা তাদের জন্য হুমকি হতে পারে।

তিনি আরো লিখেছেন, ‘আমাদের সব সময় মুখ ঢাকার নিকাব এবং আবায়া পরে কাজ করতে হবে।এটা একজন মানুষের জন্য অনেক বড় বোঝা।’

আরেকজন নারী লিখেছেন, ‘একজন সৌদি নারী হিসেবে এই পোশাকে আমি স্বাধীনতা অনুভব করি না। আমি আইনের চাপে সব জায়গায় আবায়া পরতে বাধ্য হই। কিন্তু আমি আমার বাড়ির ভিতরে এটি আর নিতে পারি না।’

গত বছরে সৌদি বাদশাহ এক ডিক্রি জারি করে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেন।

গাড়ি চালানোর পাশাপাশি নারীরা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখারও অনুমতি পেয়েছেন।
সূত্র : বিবিসি। সৌদি আরবে বোরকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ!

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সৌদি আরবের কিছু নারী আবায়া বা বোরকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। ইনসাইড-আউট আবায়া-হ্যাশট্যাগ দিয়ে তারা সামাজিক নেটওয়ার্কে ছবি পোস্ট করেছেন।

এসব নারী তাদের প্রতিবাদ জানাতে আবায়া বা বোরকা উল্টো করে পরে সেই ছবি পোস্ট করেছেন।

প্রায় পাঁচ হাজার নারী এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে টুইট করেছেন বলে বিবিসির খবরে প্রকাশ। খবরে বলা হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই সৌদি আরবেই বসবাস করেন।

সৌদি নারীদের পোশাকের ব্যাপারে রয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। ঘরের বাইরে বের হতে আপাদমস্তক ঢাকা কালো রঙের বিশেষ পোশাক আবায়া বা বোরকা পরতে হয়। কিন্তু যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতায় আরোহণের পর এ ব্যাপারে ছাড়ের কথা বলেন।

গত মার্চ মাসে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছিলেন, ‘নারীরা মার্জিত এবং সম্মানজনক পোশাক পরবেন। এর মানে এই নয় যে, নারীরা আপাদমস্তক ঢাকা কালো রঙের পোশাক বা আবায়া পরবেন।’

তিনি আরো বলেছিলেন, ইসলামে আপাদমস্তক ঢাকা কালো পোশাক পরা বাধ্যতামূলক নয়। এ ব্যাপারে শরীয়া আইনটি স্পষ্ট বলেও তিনি উল্লেখ করেছিলেন।

মার্জিত এবং সম্মানজনক পোশাক বলতে কি বোঝায়? সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য আসেনি।

এছাড়া তার এই বক্তব্যের পরও নারীদের পোশাকের ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়নি এবং আনুষ্ঠানিক কোনো নির্দেশ দেয়া হয়নি।

সৌদি নারীরা সামাজিক নেটওয়ার্কে কি পোস্ট করছেন?
হাওরা নামের একজন সৌদি নারী টুইটারে লিখেছেন, আপাদমস্তক ঢাকার কালো রঙের পোশাক আবায়া উল্টো করে পরে সেই ছবি পোস্ট করে তারা রাষ্ট্রের বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। তারা নিজের চেহারা প্রকাশ করছেন না। কারণ তাদের পরিচয় প্রকাশ করলে, সেটা তাদের জন্য হুমকি হতে পারে।

তিনি আরো লিখেছেন, ‘আমাদের সব সময় মুখ ঢাকার নিকাব এবং আবায়া পরে কাজ করতে হবে।এটা একজন মানুষের জন্য অনেক বড় বোঝা।’

আরেকজন নারী লিখেছেন, ‘একজন সৌদি নারী হিসেবে এই পোশাকে আমি স্বাধীনতা অনুভব করি না। আমি আইনের চাপে সব জায়গায় আবায়া পরতে বাধ্য হই। কিন্তু আমি আমার বাড়ির ভিতরে এটি আর নিতে পারি না।’

গত বছরে সৌদি বাদশাহ এক ডিক্রি জারি করে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেন।

গাড়ি চালানোর পাশাপাশি নারীরা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখারও অনুমতি পেয়েছেন।
সূত্র : বিবিসি।


সর্বশেষ খবর