গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নৌকা সমর্থকদের হামলায় সতন্ত্র প্রার্থী সহ আহত ৫০ !
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ৬নং কুশলা ইউনিয়নের সতন্ত্র প্রার্থী সুলতান মাহ্মুদ চৌধুরী ও তার সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী কামরুল ইসলাম (বাদল) এর সমর্থকরা। এতে সুলতান মাহ্মুদ সহ আহত হয়েছে ৫০জন। আহতদের কোটালীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র ও গোপালগঞ্জ মেডিকেল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকা বাসীর সূত্র জানা যায়- সতন্ত্র প্রার্থী সুলতান মাহমুদ চৌধুরীর নির্বাচনী প্রচারের মাইক খান মার্কেটে আটকে রাখে নৌকা প্রতিক সমর্থকরা। এ খবর সতন্ত্র প্রার্থী কাছে এলে তার সমর্থক নিয়ে মাইক উদ্ধার করার জন্য খান মার্কেট পৌছালে নৌকা সমর্থকরা তাদের উপর রাম দা, হকস্টীক, লাঠি সিটা ও দেশীও অস্ত্র নিয়ে অতর্কীত হামলা চালায়। এতে সতন্ত্র প্রার্থী সুলতান মাহ্মুদ চৌধুরী, হোসেন আলী মাতুবার (৬০), সজল বাড়ৈ (২৫), আব্দুল হান্নন গাজী (৫৫), শফিকুর ফকির (১৮), গিয়াসউদ্দীন (৫০), জামাল সিকদার (৩৫), হুমায়ন হাওলাদার (৪০), রিয়াদ চৌধুরী (৫০), রানা চৌধুরী (৩০), গাউছ চৌধুরী (৫৫) সহ আরো অনেকে আহত হয়েছে।
পরবর্ট্নাতীতে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে আইন শৃংখলা নিয়ন্তনে আনে। সতন্ত্র সমর্থকদের অভিযোগ আমরা এলাকায় আমাদের প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার প্রচালনা করতে পারি না। আমাদের উপর হামলা চালিয়ে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে পুলিশ দিয়ে আমাদের হয়রানী করছে। তারা এও দাবী করছে অবাদ সুষ্ট ও নিরোপক্ষ নির্বাচন হলে আগামী ৩১ মার্চ নির্বাচনে ৬নং কুশলা ইউনিয়নে শতকরা ৭৫ ভাগ ভোট পেয়ে আমরা নির্বাচিত হবো। আমাদের জনপ্রিয়তা দেখে নৌকা প্রতিকের প্রার্র্থী ও সমর্থকরা ঈশ্বর্নীত হয়ে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমাদের মাইকটি এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি।
সতন্ত্র প্রার্থীর সুলতান মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে মোঃ তানভীর চৌধুরীর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে এ আমারবাংলা২৪.কম.বিডি কে জানায় আমার বাবাকে প্রচুর মার ধর করা হয়েছে। সে এখন ও পর্যন্ত আশংক্ষা মুক্ত নয়। তাকে উন্নত চিৎকসার জন্য হয়তো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সরকার দলীয় প্রার্থী ও সমর্থকদের বাধার কারনে আমরা নির্বাচনী প্রচারোনা চালাতে পারি না। আমাদের মাইক ভাঙ্গচুর পোষ্টার ব্যানার ছিরে ফেলানো হচ্ছে এবং নৌকা মার্কার পোষ্টার নিজেরা ছিরে ফেলে আমাদের উপর মামলা দিচ্ছে। আমরা সরকার ও প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ জানান বিষয়টি তদান্তধীন অবস্থায় আছে। তদান্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।