গত অর্থবছরের তুলনায় এ বছর মূল্যস্ফীতি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় রয়েছে- পরিকল্পনামন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টারঃ বর্তমানে সব নিত্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী, নির্বাচনী হাওয়ায়ও নিত্যপণ্যের বাজারে নেতিবাচক কোনো প্রভাব পড়বে না। বরংসামনে নিত্যপণ্যের দাম আরও কমবে। দেশে কৃষি পণ্যের বাম্পার ফলন হয়েছে। চাল উৎপাদনও ভালো হয়েছে। তাই সব পণ্যের মইসহনীয় পর্যায়ে আছে। ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময়মূল্যও সহনীয় পর্যায়ে আছে। ফলে আদা, রসুন, পেঁয়াজ, তেল ও ডাল নতেবাড়তি খরচ হয় না। গত অর্থবছরের তুলনায় এ বছর মূল্যস্ফীতি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় রয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীরশেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।সিপিআইয়ের হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারে তেল, ডাল ও চিনির দাম কমেছে। ফলে দেশে মূল্যস্ফীতিরহারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এর প্রভাবে চলতি বছরের নভেম্বর মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ।অক্টোবর মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ।
নির্বাচনের আগে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির শঙ্কা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে মাননীয় মন্ত্রী বলেন, ভোটের সময় আমরা চাল ওসবজি বেশি খাবো না। কিন্তু চা তৈরির জন্য চিনি একটু বেশি লাগবে। ভোটে অন্যান্য উৎসবের মতো আমরা সন্তানদের নতুন নতুনকাপড়-চোপড়ও কিনে দেই না। সুতরাং ভোটে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নাই। এখন সব কিছুর দাম কম, ভোটের পরওদাম কম থাকবে।
বিবিএস’র হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, শহর এলাকায় ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসের তুলনায় ২০১৮ সালের নভেম্বরে সব পণ্যেরদাম কমেছে। ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচের দাম ছিল ১৬ টাকা, এ বছরের নভেম্বর মাসে কমে হয়েছে ৮ টাকা।একইভাবে তুলনায় দেখা যাচ্ছে, প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৮৪ টাকা থেকে কমে ৫৮ টাকা, রসুন ১১০ থেকে ১০০, ব্রয়লার মুরগি ১৫৯ থেকে১৫০, হলুদ ২০০ থেকে ১৯০, চিনি ৬০ টাকা থেকে কমে ৫৮ টাকা হয়েছে। তবে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত হয়েছে।
অবশ্য দাম বেড়েছে উন্নতমানের মসুর ডাল, খেসারির ডাল, আতপ চাল, নাজিরশাইল, খাসির মাংস, চিংড়ি মাছের দাম।প্রতিকেজি আতপ চাল ৪২ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৪ টাকা, খাসির মাংস ৭৪৮ থেকে ৭৭০, চিংড়ি ৭১৮ থেকে ৭৩৫, গরুর মাংস ৪৯৬থেকে ৫০০, পাম অয়েল প্রতিলিটার ৭৮ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। অন্য দিকে দেশি মানের বাইসাইকেল ৫ হাজার ৮০০ টাকাথেকে বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৯০০ টাকা।