রহিম খানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ
বিশেষ প্রতিবেদক: চেয়ারম্যান পদের দলীয় মনোনয়নের আবেদন বাতিল, মন্দিরের সম্মুখ হতে জাকের পার্টির ক্যাম্প উচ্ছেদ, আসামীদের গ্রেপ্তারসহ যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন মানিগঞ্জের শিবালয় শীলপাড়া সার্বজনীন মন্দিরের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রমথ চন্দ্র শীল সূর্য।
সোমবার মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে জেলা আওয়ামীলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুর রহিম খান ও শিবালয়ের দুলাল মল্লিক গংদের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগটি দায়ের করা হয়।
অভিযোগে প্রকাশ, শিবালয়ের শীল পাড়া সার্বজনীন মন্দিরটিতে গত ৩০ বছর ধরে দূর্গা ও কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। গত দুই ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় আব্দুর রহিম খান, দুলাল মল্লিক তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মন্দিরের সম্মুখে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় জাকের পার্টির ক্যাম্প করতে আসলে তাদের বাধা প্রদান করা হয়। মন্দির কমিটির বাঁধায় তিন দিন কাজ বন্ধ থাকলেও গত বুধবার দুপুরে তারা ক্যাম্পের কাজ করে। এর আগে ২০১৭ সালের ২৯ অক্টোবর রাত ৪ টার সময় মারাত্নক অস্ত্র-শস্ত্র সজ্জিত হয়ে উক্ত মন্দির ও মন্দিরে থাকা কালি প্রতিমা ভাঙচুর করিলে শিবালয় থানায় একটি মামলা করা হয় এবং পুলিশ আসামীদের আনা পিক আপসহ মালামাল জব্দ করে। আসামীরা জামিনে মুক্ত হয়ে দূর্গা পূজায় বাধা প্রদান করে। পরে পুলিশ বাহিনীর সহযোগিতায় পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
অভিযোগে আরো বলা হয়, আব্দুর রহিম খান ডিজেল তেলের দোকানের কর্মচারী থেকে ফেরির তেল চুরিসহ নানাবিধ অবৈধ ব্যবসা করে জিরো থেকে হিরো বনে গেছেন। তিনি নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ বানিয়েছেন। অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা ও নিজেকে রক্ষার জন্য তিনি আওয়ামীলীগে যোগ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমথ চন্দ্র শীল সাংবাদিকদের জানান, ওই নেতা মন্দির দখলের ব্যাপারে এখনও পায়তারা করছে। মন্দির থেকে বের হওয়ার রাস্তা, ক্ষতিপুরন এবং জায়গা কোনটার প্রতিশ্রুতিই তিনি রক্ষা করেননি। তাই তার বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে সোমবার রাত ৯.৫৪ মিনিটে বক্তব্য জানতে রহিম খানের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি