কে হবে ডিএনসিসির ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর
মোঃ আশরাফ হোসেন ঢালীঃ পোস্টার ছেয়ে গেছে, চলছে প্রচারণা। ডিএনসিসির ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে ১০ জন বিভিন্ন প্রতীকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন। এদের ভিতর আওয়ামীলীগসহ অন্যতম হেভিওয়েট প্রার্থী ৮ জন। হরিরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ব্যাডমিন্টন প্রতীক, তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম সুরুজ লাটিম প্রতীক, তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হাজী মোঃ মজিবুর রহমান কাটা চামচ প্রতিক, সাবেক ঢাকা জেলা সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন যুবরাজ ঝুড়ি প্রতিক, হরিরামপুর ইউপি সাবেক ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারীক রেডিও প্রতিক, হরিরামপুর ইউপি সাবেক দুই নং ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ জাবেদ আলী ঘুড়ি প্রতিক, আওয়ামী লীগ নেতা ও উওরা রয়েল ক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ সোহেল শেখ টিফিন কারি প্রতীক, তুরাগ থানার জাতীয় পার্টির সভাপতি আলাল উদ্দিন আলাল ট্রাকটার প্রতীকে নির্বাচনের প্রচারণা চালাচ্ছেন।
সাধারণ জনগণ বলছে যারা প্রার্থী হয়েছেন অধিকাংশই একই জ্ঞাতিগোষ্ঠী দু-একজন বাদে। যার কারনে অনেকাংশেই রয়ে গেছে ধুয়াসা। কে হবে ৫৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এমন প্রশ্নই সাধারণ মানুষের।
সাব্বির নামে এক ভোটার বলেন, দীর্ঘদিন যাবত হরিরামপুর ইউনিয়ন এ বসবাস করছি, দেখেছি অনেক নির্বাচন। এবারের নির্বাচন আমার কাছে একটু ব্যতিক্রমী, যারা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হয়েছেন তারা অধিকাংশই আমার পরিচিত। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি কাকে ভোট দেব, কে সেই যোগ্য ব্যক্তি! প্রত্যেকেই আমাদেরকে কথা দেন তার প্রতিফলন আমরা আজও দেখতে পাই নি।
নাসিমা বেগম নামে আরেক মহিলা ভোটার বলেন, ভোটের আগ মুহূর্তে আমাদের খুব কদর থাকে যা বলি তাই যেন হয়ে যায়। প্রার্থীরা তাই করে দেবে এমনই আশ্বাস দেয় কিন্তু পরবর্তীতে দেখা মেলে শূন্যের কোঠায়। হরিরামপুর ইউনিয়ন মেম্বারদের ধারায় কোন রাস্তার কাজ হয়েছে তা আমার জানা নেই। যদিও ইউপি চেয়ারম্যান ড্রেনের কাজ করেছেন তা দৃশ্যমান। এছাড়া রাস্তাঘাটের টুকটাক কাজ আর ড্রেনের সংস্করণ আমরা যারা বাড়ি ওয়ালা আছি তাদের টাকা দিয়েই হয়েছে। শুনেছি কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর বিশাল বড় বড় বাজেট নিয়ে নির্বাচনে নেমেছে। আর এটা যদি সত্য হয় তাহলে এই কাউন্সিলের থেকে আমরা যে কোন সুযোগ সুবিধা পাবনা, এটাই সত্য বলে মন্তব্য করেন মহিলা ভোটার নাসিমা বেগম।
নাম পরিচয় গোপন রেখে একজন বলেন, ৫৪নং ওয়ার্ডে আছে ২৩ হাজার ৮০০ ভোটার। যারা এই নির্বাচনে এখন প্রার্থী হয়েছেন এর অধিকাংশ সময় জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। প্রতিনিধিত্ব করা কালীন তারা যেভাবে সেবা দেওয়ার কথা ছিল তা কোন কিছুই করতে পারেনি। যার দরুন অনেক প্রার্থীরা ভোটারদের ভোট জয় করার চেয়ে টাকা দিয়ে কেনার পাঁয়তারা করছে। এ বিষয় নিয়ে অনেক ভোটাররাই হতাশ প্রকাশ করেছেন।
প্রার্থীদের ভেতর হাড্ডাহাড্ডি ভাবে এগিয়ে আছে, নুরুল ইসলাম সুরুজ মোল্লা লাটিম প্রতীক, জাহাঙ্গীর হোসেন যুবরাজ ঝুড়ি প্রতীক, জাবেদ আলী মেম্বার ঘুড়ি প্রতীক, হাজী মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান কাটা চামচ প্রতীক, আব্দুর রাজ্জাক মেম্বার ব্যাডমিন্টন প্রতীক, আলহাজ্ব সোহেল শেখ টিফিন কারি প্রতীক নিয়ে প্রচার প্রচারণায় গিয়ে আছে। যদিও প্রচার প্রচারণায় ধীরগতিতে কাছাকাছি পর্যায় আব্দুল বারিক, আলাল উদ্দিন আলাল।
এদিগে জবেদ আল, মুজিবুর রহমান ও সোহেল শেখ তারা একই পরিবারের তাদের একটি বড় ভোট ব্যাংক আছে। সেই তুলনায় জাহাঙ্গীর হোসেন যুবরাজ তরুণদের প্রতিনিধিত্ব করলেও তার সাথে অনেকেই হয়তো ভোটের মাঠে ছলনা করতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ থেকে কাউকে দলীয় সমর্থন না দেয়ায়, কর্মী সমর্থন নিয়ে এগিয়ে আছেন সুরুজ আলী মোল্লা ও আব্দুল রাজ্জাক মেম্বার। যদিও জাতীয় পার্টির একক দলিয় প্রার্থী আলাল উদ্দিন আলাল।
সাধারণ জনগণ বলছেন এখনো সময় আছে আমরা তাদের কার্যক্রম এবং তাদের প্রতিশ্রুতি দেয়ার ও নেয়ার অপেক্ষা আছি।