৫ টাকায় পেটভরে খিচুড়ি ও টমেটো সস
ফাহিম রাজ ফারহাদঃরাজশাহী প্রতিনিধিঃ শিরোনাম দেখে শুনে অনেকেই আশ্চর্য হয়েছেন, হবেনই-বা না কেনো?! আমিও খুব আশ্চর্য হয়েছিলাম খবর টি পেয়ে। আমরা মুসলিম এবং বাঙ্গালী জাতি হিসেবে বিশ্বে বারংবার বিভিন্ন শুভ কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে পরিচিত। আজ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত আমাদের বাংলাদেশ। আমাদের সমাজে বসবাসরত অনেক মানুষই সুচিন্তার ধ্যানধারণা নিয়ে সদা মসগুল। তারই ধারাবাহিকতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর থানাধীন পৌর এলাকার কতিপয় ব্যাক্তির (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) সৎ ও মহৎ সদইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ করেছেন মেহমান নামক একটি অলাভ জনক একটি প্রাতিষ্ঠানিক সেবার মাধ্যমে।
অএ প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যের বিষয়ে তাদের কাছে আমার বাংলা ও জাতীয় শেষ সংবাদ রাজশাহী প্রতিনিধি জানতে চাইলে, তারা জানান যে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে যে সকল রোগীগণ চিকিৎসা সেবা গ্রহন করতে আসেন, তাদের মধ্যে সকলেই সরকারী খাবার বরাদ্দ পান না। আরও বলেন শুধু যে কয়েকটা বেড রয়েছে তারাই খাবার পেয়ে থাকেন।
যে সকল রোগীগণ ফ্লোরিং করে চিকিৎসা সেবা গ্রহন করেন তারা সরকারি খাবার হতে বঞ্চিত থাকেন। সেই সাথে রোগীদের সাথে যে সমস্ত সহযোগী স্বজনগণ রোগীর সহযোগীতায় সাথে থাকেন তারা সরকারি খাবারের আওতাধীন নন। তাই তাদের সকলকেই খাবার খেতে একটু দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
কারণ হিসেবে একজন রোগীর স্বজন এর কাছে জানতে চাইলে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, হাসপাতালের নিজশ্ব কোন ক্যান্টিন নেই, তাছারা মেডিকেল গেটের আশপাশে ভালো, মানসম্পন্ন কোনো খাবারের দোকান ও নেই তাই আমাদের খাবার খেতে হয় মানহীন হোটেলে। দূরদূরান্তের রোগী ও স্বজনেরা বাড়ির খাবার সঠিক সময়ে নিয়ে এসে খাওয়া অসম্ভব।
আরও বলেন ৫ টাকায় যাহারা আমাদের জন্য পেটপুরে মান সম্পন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাবার (সবজি খিচুড়ি ও টমেটো সস) দিচ্ছেন তাদের আল্লাহ্ কবুল করুক। তিনি বলেন সমাজের বৃওবান মানুষেরা মঙ্গল জনক কাজ হিসেবে তাদের সহযোগীতা করলে তাদের কার্যক্রম আরও বেগবান হবে এতে নেকীও অর্জিত হবে। এতে রোগী ও স্বজনগণ সকলেই উপকৃত হচ্ছেন। তাই প্রবীণ বয়সী কতিপয় তথা ৪-৫ জন স্থানীয় পৌর এলাকার বাসিন্দাগণ (বন্ধু) মিলে সকল রোগী ও তাদের স্বজনদের সপ্তাহ তিনদিন যথসক্রমে শনি,সোম, ও বৃহস্পতিবার রাতের খাবার হিসেবে সবজি খিচুড়ি ও টমেটো সচ্ সকল রোগী ও স্বজনদের সেবা করণার্থে ৫ টাকায় পেটপুরে এ খাবার বিতরণ কর্যক্রমটি শুরু করেছেন।
২৩ শে মার্চ রবিবার রাত ৮ঃ০০ টায় এ খাবার পরিবেশনার সময় তাদের ৫ বন্ধুর মধ্যে ৩ জন স-সরীরে উপস্থিত হয়ে একজন নারী কর্মী ও বাবুর্চি কে সাথে নিয়ে এই মহৎ কার্যক্রমটি সম্পন্ন করেন। তাদের কাছে বিষয়টির ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা বলেন মানুষ্য কল্যানের নিমিওেই তাদের এ উদ্দোগ। বিগত ২ সপ্তাহ পূর্বে থেকে শুরু করে আজ সহ সর্বমোট ৩ সপ্তাহ যাবৎ তাদের অএ কর্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
তারা তাদের নাম প্রকাশে অনাগ্রহ পোষন করে বলেন লোক দেখানু বা কোনো রাজনৈতিক বা লাভবান কোনো কাজের উদ্দেশ্য নেই আমাদের তাই নাম না দেয়াই মঙ্গল। আল্লাহর রাজিখুশি ও মানব কল্যানে তারা তাদের এ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন সপ্তাহে ৩ দিন এক বেলা। তারা জানান সমাজের অন্যান্যরাও যখন এগিয়ে আসবে তখন কার্যক্রম আরও বেশি করে খাবার ২-৩ বেলা দিতে পারবো। সর্বমোট ১৪০-১৫০ জনের খাবার ব্যাবস্থা করছেন তারা।
বিশেষ দিনগুলোতে তারা আরও একটু উন্নত খাবার পরিবেশনের কথা ভাবছেন বলেও আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। ৫ টাকা মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে তারা বলেন শুধু বাবুর্চিকে কিছু টাকা মূল্য উপহার হিসেবে ওটা নির্ধারণ করেছেন তারা। হাসপাতাল কর্তৃপহ্ম ও সমাজের সুধিজন তাদের এ কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। অন্যান্যদের মধ্যে কেউ এ কর্মসূচির সাথে সম্পৃক্ত হবার সুযোগ রেখেছেন তারা। আগ্রহি ব্যাক্তিবর্গদের নিম্নের নাম্বারে যোগাযোগের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।