সব

উন্নয়নশীল পাঁচ দেশের মধ্যে এখন বাংলাদেশ

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Thursday 4th April 2019at 3:53 pm
113 Views

 

অনলাইন ডেস্কঃ শিল্পখাতের উন্নয়ন ছাড়াই বিশ্বের দ্রুতগতির উন্নয়নশীল পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। এমন পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলেছে, এ বছর প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে বাকি চারটি দেশ হলো ধারাবাহিকভাবে ইথিওপিয়া, রুয়ান্ডা, ভুটান এবং ভারত। জিবুতি, আইভরি কোস্ট ও ঘানার সঙ্গে পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।

আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রকাশ করেছে। এ উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন হয়। এতে প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন। বক্তব্য দেন কান্ট্রি ডিরেক্টর রবার্ট জে সউম।

এসময় তিনি বলেন, আমরা একটা টেকসই প্রবৃদ্ধির কথা বলছি। যেটা হবে ৭ শতাংশের বেশি। এটা ধরে রাখতে দেশকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ঝুঁকি মোকাবিলা করতে হবে। একদিকে, ডলারের অবমূল্যায়ন, অন্যদিকে, বেক্সিট ইস্যু, চীনের অর্থনীতি, চীন-আমেরিকা সম্পর্ক ইত্যাদি। তবে আমাদের যদি ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে যেতে হয়, তাহলে এখানে ভালো বিনিয়োগ থাকতে হবে। ব্যক্তি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। মানবসম্পদকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি আর্থিকখাতে সংস্কার আনতে হবে।

তবে বিশ্ব ব্যাংক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথা বললেও সরকার দাবি করছে, দেশে বছর শেষে ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এশিয়া ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) আর বিশ্ব ব্যাংকের মত একই।

জাহিদ হোসেন বলেন, শক্তিশালি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে আর্থিক স্থিতিশীলতা, বৈদেশিক মুদ্রা বাজার স্থিতিশীলতা রাখতে হবে। একইসঙ্গে রাজস্ব বাড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে রাজস্বখাতে লক্ষে পৌঁছাতে না পারায় প্রতি বছর ঘাটতি বাজেট বাড়ছে। তার মতে, রাজস্ব না বাড়ায় কারণ হতে পারে, হয় রাজস্ব আইন যুগোপযোপী না অথবা প্রশাসনের দুর্বলতা।

খেলাপি ঋণ নিয়ে তিনি বলেন, ঋণখেলাপি একটি ছোঁয়াচে রোগ। একবার কেউ খেলাপি হওয়ার পর বারবার তাকে দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। অথচ অন্যরা ঋণ পায় না। এক্ষেত্রে সবাইকে সমান চোখে দেখে মূল্যায়ন করতে হবে। না হলে এ ছোঁয়াচে রোগ কমানো যাবে না।

তিনি আরও বলেন, মানবসম্পদ উন্নয়নে ১৫৭ দেশের মধ্যে আমরা ১০৬ নম্বর। আমাদের অক্ষমতা দূর হলে ৪৮ শতাংশ অগ্রগতি সম্ভব। এর মধ্য শিক্ষার প্রসার ঘটানো এবং শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করা।


সর্বশেষ খবর