সব

রুশ বিমান ভূপাতিত করল তুরস্ক: কোন দিকে যাচ্ছে পরিস্থিতি?

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Wednesday 25th November 2015at 2:57 pm
26 Views

18

 

স্টাফ রিপোর্টার ঃ  তুরস্কের সেনাবাহিনী সিরিয়া সীমান্তে রাশিয়ার একটি জঙ্গিবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন,“রাশিয়ার পিঠে ছুরি মেরেছে তুরস্ক।” বিমান ভূপাতিত করার পর তুরস্ক দাবি করেছে, রুশ যুদ্ধবিমানটি তার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তুরস্কের আকাশসীমা লঙ্ঘনের কথা জোরালোভাবে নাকচ করেছে।

খবরে জানা গেছে, বিমানের দুই পাইলটই প্যারাস্যুট দিয়ে বিমান থেকে নিরাপদে বের হয়েছিলেন এবং প্রাথমিকভাবে একজনের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছিল। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সর্বশেষ খবরে বলা হয়েছে-প্যারাস্যুটের মাধ্যমে বিমান থেকে বের হয়ে আসা দুই পাইলটকেই গুলি করে হত্যা করেছে সিরিয়ার তুর্কমেন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। রয়টার্স তুর্কমেন ব্রিগেডের ডেপুটি কমান্ডারের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে।

আলপাসলান সেলিক নামের এ কমান্ডার জানিয়েছে, আকাশে থাকতেই দু পাইলটকে তাদের যোদ্ধারা গুলি করে এবং পাইলট দুজন মাটিতে নামার আগে মারা গেছেন। এ সময় কমান্ডার সেলিক রুশ পাইলটদের প্যারাস্যুটের অংশবিশেষ দেখিয়েছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে যে, নিহত এক রুশ পাইলটকে ঘিরে সন্ত্রাসীরা “আল্লাহু আকবর” বলে ধ্বনি দিচ্ছে। এসব সন্ত্রাসী আক্ষেপ করে বলেছে,“কেন পাইলটরা আগুনে পুড়ে মরল না!” গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে আরো দেখা গেছে, একটি জঙ্গিবিমান সিরিয়ার পাহাড়ি এলাকায় ভেঙে পড়ছে।

কী বলেছেন  পুতিন?

বিমান ভূপাতিত করার ঘটনা যখন ঘটেছে তখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ছিলেন জর্দানের রাজা আবদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠকে। রাশিয়ার সোচি শহরে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠক শেষ করে তিনি বিমান ভূপাতিত হওয়ার বিষয়ে কথা বলেন। এ সম্পর্কে পুতিন নিন্দা ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন,“তুরস্ক রাশিয়ার পিঠে ছুরি মেরেছে। আর এ কাজ করেছে সন্ত্রাসীদের সহযোগী। আজকের ঘটনাকে আমি অন্য কোনোভাবে ব্যাখ্যা করতে চাই না।”

পুতিন বলেছেন, তুরস্কের এফ-১৬ জঙ্গিবিমান থেকে ছোঁড়া আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে রুশ সুখোই-২৪ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তিনি বলেছেন,“আমি বুঝি প্রত্যেকটি দেশের আঞ্চলিক স্বার্থ থাকে এবং আমরা সবসময় তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে আসছি। কিন্তু আজকে যে অপরাধ করা হয়েছে তা আমরা কোনোভাবেই সহ্য করব না।”

তিনি আরো বলেছেন, ভূপাতিত বোমারু বিমানটি কোনোরকম তুরস্কের জন্য হুমকি ছিল না। বিমানটি আইএস সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছিল। তিনি আরো বলেছেন, সিরিয়ার লাতাকিয়া প্রদেশে বিমানটি প্রতিরক্ষামূলক অভিযানে নেমেছিল এবং ওই এলাকায় রাশিয়া থেকে যাওয়া সন্ত্রাসীদের অবস্থান ছিল। এসব সন্ত্রাসী যেকোনো মুহূর্তে রাশিয়ায় ফিরতে পারে।  তারা যাতে রাশিয়ায় না ফিরতে পারে সেজন্য বিমান হামলা জোরদার করা হয়েছিল।

পুতিন আরো বলেছেন, সিরিয়ায় তৎপর সন্ত্রাসীরা প্রতিদিন তুরস্কে তেল পাচার করত এবং বিষয়টি রাশিয়ার অনেক আগে থেকেই জানা ছিল। এই তেল বিক্রির অর্থ দিয়ে আইএস তাদের অর্থের যোগান নিশ্চিত করত। গত কয়েকদিন সন্ত্রাসীদের প্রায় এক হাজার তেল ট্যাংকার ধ্বংস করা হয়েছে। এটা তুরস্কের স্বার্থের জন্য বড় ধরনের আঘাত।

পুতিন বলেছেন,  বিমান ভূপাতিত হওয়ার ঘটনা ঘটার পর তুরস্ক রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ না করে তারা ন্যাটো জোটের সঙ্গে যোগাযোগ করছে; যেন আমরাই তুর্কি বিমান ভূপাতিত করেছি। এর অর্থ কী এই দাঁড়ায় যে, আইএস’র জন্য ন্যাটো জোট কাজ করুক? পুতিন পরিষ্কার করে বলেছেন,“বিষয়টি আমরা বিশ্লেষণ করে দেখছি এবং বিমান ভূপাতিত করার ঘটনায় রাশিয়া ও তুরস্কের সম্পর্ক করুণ পরিণতি বরণ করবে।”

তিনি এও বলেছেন,“রাশিয়া তুরস্ককে শুধু ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশিই মনে করে না বরং বন্ধু রাষ্ট্র বলেও মনে করে। কিন্তু আমরা নিশ্চিত নই কার প্রয়োজনে আজকের এ ঘটনা ঘটানো হলো।” এখানে বলতে বাধা নেই- পুতিন “সন্ত্রাসীদের সহযোগী” বলতে অবশ্যই তুরস্ক এবং এরদোগানকে বুঝিয়েছেন। শুধু এরদোগানকে সন্ত্রাসীদের সহযোগী বলেই থেমে থাকেন নি তিনি, রাশিয়ায় নিযুক্ত তুরস্কের সামরিক অ্যাটাশেকে তলবও করা হয়েছে।

সম্পর্কে কী ধরনের প্রভাব পড়বে?

বিমান ভূপাতিত করার ঘটনায় তুরস্ক ও রাশিয়ার সম্পর্ক মারাত্মক পরিণতি বরণ করবে বলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মন্তব্য করার পর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, কী ধরনের প্রভাব পড়বে।

জবাবে তিনি বলেছেন, বিষয়টি এতটাই মারাত্মক যে, এখনই উপসংহারে আসা যাচ্ছে না। তিনি আরো বলেছেন,“আমাদেরকে ধৈর্য ধরতে হবে; এটা খুবই মারাত্মক ঘটনা। সে কারণে আমি আবারো বলছি, পুরোচিত্র না পেয়ে এ নিয়ে  উপসংহার টানা ভুল হবে।”

ন্যাটো জোট:

এ ঘটনার পর ন্যাটো জোট জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। কারণ তুরস্ক হচ্ছে ন্যাটোর একমাত্র মুসিলম সদস্য। ন্যাটো জোটের ৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জোটের কোনো একটি সদস্য দেশ শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হলে বাকি সদস্যরা তার সহযোগিতায় ছুটে আসবে।

অনুচ্ছেদ ৫-এ পরিষ্কার করে বলা হয়েছ- ন্যাটোর কোনো সদস্যের ওপর হামলা হলে তা সবার ওপর হামলা বলে গণ্য করা হবে এবং সামরিক বাহিনী ব্যবহারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে জোট। যদিও তুরস্ক এখনো আক্রান্ত হয় নি অর্থাৎ রাশিয়া হামলা চালায় নি তবু ন্যাটো জোট সতর্কতামূলক অবস্থানে রয়েছে। সম্ভাব্য যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য যে ন্যাটো প্রস্তুত তা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। বর্তমানে এ জাটের সদস্য সংখ্যা ২৮।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তুরস্ক সফর বাতিল:

এদিকে, বিমান ভূপাতিত করার পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ তুরস্ক সফর বাতিল করেছেন। একইসঙ্গে তিনি রাশিয়ার নাগরিকদেরকে তুরস্ক ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন। বুধবার (২৫ নভেম্বর ২০১৫) ইস্তাম্বুলে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠকের কথা ছিল। ল্যাভরভ বলেছেন, মিশরে যে ধরনের সন্ত্রাসবাদের হুমকি রয়েছে তুরস্কে তার চেয়ে কোনো অংশে কম নেই। গত মাসে মিশরে একটি যাত্রীবাহী রুশ বিমান বিধ্বস্ত হয়। পরে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, ২২৪ জন আরোহী বহনকারী বিমানটি সন্ত্রাসী হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পর্যটন সংস্থা তুরস্কে যাওয়ার জন্য ভ্রমণ প্যাকেজ বিক্রি বাতিল করেছে। এছাড়া, রাশিয়ার অন্যতম বড় ট্যু’র অপারেটর ‘নাতালিয়ে টুর্‌স’ এরইমধ্যে তুরস্ক সফরের জন্য সব ধরনের টিকেট বিক্রি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।

পাল্টাপাল্টি দাবি:

বিমান ভূপাতিত হওয়া সম্পর্কে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ভূমি থেকে নিক্ষিপ্ত গোলার আঘাতে তাদের একটি সুখোই-২৪ জঙ্গিবিমান সিরিয়ায় ভেতরে ভূপাতিত হয়েছে। তুরস্কের সেনা কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, তাদের একটি এফ-১৬ জঙ্গিবিমান থেকে গুলি চালিয়ে রুশ বিমানটিকে ভূপাতিত করা হয়েছে।

রুশ জঙ্গি বিমানটি বারবার তুরস্কের আকাশসীমা লঙ্ঘন করছিল বলে সতর্ক করে দেয়ার পরও তা আমলে না নেয়ায় এটিকে গুলি করা হয় বলে আংকারা দাবি করেছে। তবে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আংকারার এ দাবির কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, রাশিয়ার জঙ্গিবিমানটি অভিযানের সময় একবারও তুর্কি আকাশসীমা লঙ্ঘন করে নি।

রুশ মন্ত্রণালয় বলছে, তুরস্ক সীমান্ত থেকে এক কিলোমিটার দূরে এবং ৬০০০ মিটার উচ্চতায় ছিল বিমানটি। ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর বিমানটি তিন কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়ে।

আগে কী কখনো এমন ঘটনা ঘটেছে:

এর আগে ন্যাটো জোটের বিভিন্ন দেশের আকাশসীমার কাছাকাছি বহুবার রাশিয়ার বিমান গেছে। এমনকি ব্রিটেনের আকাশসীমা থেকেও রুশ বিমান তাড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। আবার আমেরিকাসহ ন্যাটোর অন্য সদস্য দেশের বিমানকেও কখনো কখনো রাশিয়া তার আকাশসীমা বা নিকটবর্তী এলাকা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে।

কিন্তু এভাবে বিমান ভূপাতিত করার নজির নেই। গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে সিরিয়ায় উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস এবং অন্য সন্ত্রাসী অবস্থানে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। এ হামলা শুরু করেছে সিরিয়া সরকারের আনুষ্ঠানিক অনুরোধের পর।

আমেরিকা, সৌদি আরব, তুরস্ক ও ফ্রান্সসহ মার্কিন মিত্ররা তার বিরোধিতা করে আসছে। বার বার এসব দেশ রাশিয়াকে পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দিয়েছে। একইভাবে ন্যাটো জোটও হুমকি দিয়েছে।

কার ফাঁদে পা দিলেন এরদোগান?

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে হামলার পর অনেক রাজনৈতিক ও সামরিক বিশ্লেষক ধারণা করছেন, ওই হামলার ঘটনাকে পুঁজি করে নানা ছুতায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। এর আগে আমেরিকা ও ন্যাটো জোট যেসব হুমকি দিয়েছে তা বিশ্লেষণ করলেও খানিকটা মনে হয়-তুরস্কের মাধ্যমে রুশ বিমান ভূপাতিত করে সেই ছুঁতা তৈরি করা হলো।

এরইমধ্যে খবর বের হয়েছে-হামলার পরপরই তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান তার দেশের সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাউদওগ্লুও বলেছেন, বিষয়টি ন্যাটো জোটে তোলা হবে।

প্রশ্ন হচ্ছে- ঘটনাটি ঘটার পর যেখানে তুরস্কের পক্ষ থকে আপোস রফার চেষ্টা করা উচিত ছিল সেখানে বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা না করে সরাসরি ন্যাটো জোটে তোলা হচ্ছে কেন? তা থেকে ধরে নেয়ার যথেষ্ট কারণ আছে যে, এ ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে এবং তুরস্ক সম্ভবত ন্যাটোর হয়ে প্রক্সি দিয়ে যুদ্ধের পরিবেশ সৃষ্টি করল।

সিরিয়ায় রুশ হামলা শুরুর পর পরিবির্তিত পরিস্থিতিতে যেখানে আমেরিকাও নো-ফ্লাই জোন প্রতিষ্ঠার কথা বলছে না সেখানে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান এখনো নো-ফ্লাই জোন প্রতিষ্ঠা বিষয়ে সক্রিয়ভাবে আশাবাদী। সিরিয়ায় তৎপর প্রধান সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস যে মুসলমানদের কোনো সংগঠন নয় এবং এর সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই  বরং এর প্রতিষ্ঠাতা কথিত খলিফা আবু বকর আল বাগদাদি একজন ইহুদি নাগরিক তা গণমাধ্যমের কল্যাণে এখন সবার জানা।

এছাড়া, আন-নুসরা ফ্রন্ট হচ্ছে আল-কায়েদার সিরিয়া শাখা। তারপরও এরদোগান এসব সন্ত্রাসীকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ আলী রিজ্‌ক বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে এ ধরনের সংঘাতের মাধ্যমে তুরস্ক ন্যাটো জোটকে ডেকে আনার চেষ্টা করছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ন্যাটো জোটকে ডেকে আনলে পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে? সে অবস্থায় রাশিয়া ও তার মিত্রদের সঙ্গে কী মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের যুদ্ধ শুরু হবে? যদি এমন যুদ্ধ শুরু হয় তাহলে কী তা এক পর্যায়ে বিশ্বযুদ্ধে রূপ নেবে? সেই বিশ্বযুদ্ধে কী ইরান কিংবা চীন জড়িয়ে পড়বে?

সম্ভাব্য সেই বিশ্বযুদ্ধ শুরুর জন্য কী তুরস্ক এবং এরদোগান দায়ী থাকবেন? এছাড়া, সিরিয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী যে রুশ অভিযান চলছিল তা কী থমকে যাবে? যদি থমকে যায় তাহলে বাগদাদির আইএস সন্ত্রাসীরা কী তাদের কথিত খেলাফত কায়েমের দিকে আরো এগিয়ে যাবে?

এসব প্রশ্ন তোলা গেল কিন্তু এখনই এর জবাব পাওয়া মুশকিল। এসব প্রশ্নের জবাব পেতে হলে আমাদের আরো কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। তবে, সংক্ষেপে বলা যায় পরিস্থিতি অবনতির দিকেই যাচ্ছে।

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক, রেডিও তেহরান

 


সর্বশেষ খবর