থানার ক্যাশিয়ার নারী নির্যাতন মামলায় আটক
অনলাইন ডেস্কঃ স্ত্রীকে নির্যাতন এবং পরকিয়ার অভিযোগে থানার ক্যাশিয়ার ও উত্তরা পূর্ব থানা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল মন্ডল ওরফে ক্যাশিয়া রাসেলকে আটক অরেছে পুলিশ।
স্ত্রী সুমাই আক্তার সিমুর অভিযোগে দক্ষিণখান থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তুরাগের দলিপাড়া থেকে তাকে আটক করে ।
দুই সন্তানের জননী সুমাইয়া জানান, পরকিয়ায় লিপ্ত রাসেল সম্প্রতি তুরাগের দিয়া বাড়িতে ভাগিনা মাসুমের স্ত্রীর সাথে অনৈতিক কাজের সময় এলাকার মানুষের হাতে আটক হলে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পায়।
ঘটনার পর থেকে ভাগিণা মাসুম তার লোকজন দিয়ে রাসেলকে সিটি কর্পোরেশনের অফিসে ডেকে নিয়ে মারপিট করে।
কিছুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সুস্থ হয়ে পুনরায় ঐ নারীর কাছে যেতে বাঁধা দেয়ায় সে আমার উপর নানা ভাবে নির্যাতন করে আসছিলো।
প্রতিদিন রাতে মাদক সেবন করে কাপড় দিয়ে মুখ বেধে মারপিট করাসহ মিথ্যা মামলায় পুলিশে দেয়ার ভয় দেখাতো।
গত সোমবার রাতে মাথার চুল কেটে ঘর থেকে বের করে দেয় সন্তানসহ।
আমি আমার দুই শিশু সন্তান নিয়ে ৪ দিন মানুষের বাড়ি বাড়ি রাত কাটালেও সে আমাকে ঘরে উঠতে দেয়নি।
বাসার সামনে গেলেই মারপিট করে, শিশু সন্তানদের রাস্তায় ছুড়ে ফেলে। আমার পরিবারের লোকজন প্রতিবাদ করলে সে পুলিশের ভয় দেখাতো সবসময়।
আর ভাগিণা মাসুমের অভিযোগ, আজমপুর ফুটপাতে ফল বিক্রির সুবাধে পরিচয় ঘটে রাসেল মন্ডলের সাথে।
পুলিশের লাইনম্যান হওয়াতে সম্মান আর ভয়ের চোখে দেখতাম সবসময়। মাঝে মধ্যে বাসায় দাওয়াত করে খাওয়াতাম যাতে লাইনের টাকা দেওয়া না লাগে।
এই সুযোগে সে আমার স্ত্রীর দিকে কুনজর দেয়। আমি বাসায় না থাকলে বাসায় এসে নানা ভাবে স্ত্রীকে ফুসলিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে।
কিছুদিন আগে স্ত্রীর সাথে কথাকাটি হলে রাগ করে বাসা থেকে বের হয় যায়।
পরে জানতে পারি রাসেলের বাসায় গিয়ে উঠেছে তখন থেকেই আমি স্ত্রীর উপর নজর রাখি এবং এলাকার মানুষের সহায়তায় তাকে হাতেনাতে আটক করি।
এরপর থেকেই রাসেল আমাকে লোকজন দিয়ে মারপিট করাসহনানা ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে তাই নিজের নিরাপত্তা চেয়ে তুরাগ এবং উত্তরা পূর্ব থানায় সাধারণ ডাইরি করি।
উল্লেখ্য রাসেল মন্ডল দশ বছর যাবৎ উত্তরা থানা পুলিশের ক্যাশিয়ার হিসাবে এলাকার ফুটপাতসহ নানা অবৈধ ব্যবসার দেখ ভালের দায়িত্বে ছিলো।