সব

দেশী কাপড়ের চাহিদা বেশি

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Tuesday 21st May 2019at 1:05 pm
58 Views

আমারবাংলা ডেস্কঃ মহাসড়কের ওপর ট্রাকের দীর্ঘ সারি। ওঠানো-নামানো হচ্ছে বিশাল আকারের কাপড়ের গাঁট। অলিগলিগুলোতে হাজারো ক্রেতার ভিড়। হাটবার ঝো নেই। বেশির ভাগ দোকানের সামনেই একাধিক ভ্যানের সারি। তাতেও ওঠানো হচ্ছে কাপড়।

ঈদকে সামনে রেখে দেশের পাইকারি কাপড়ের অন্যতম বাজার নরসিংদীর বাবুরহাটে এমন জমজমাট চিত্র এখন প্রতিদিনের। সাধারণত শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার সাপ্তাহিক হাট হলেও ঈদ বেচাকেনার জন্য এখন সাত দিনই হাট বসছে। তাই দম ফেলার ফুরসত নেই বিক্রেতাদের।

শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রিপিস, শার্ট পিস, প্যান্ট পিস, থান কাপড়, পাঞ্জাবির কাপড়, গামছা, বিছানার চাদরসহ প্রায় সব ধরনের দেশীয় কাপড় পাওয়া যায় এখানে। ঈদ উপলক্ষে বাজারের ছোট বড় প্রায় ১০ হাজার দোকানে সব ধরনের কাপড়ের পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দেশের বিভিন্ন এলাকার খুচরা কাপড় বিক্রেতারা ঈদ উপলক্ষে প্রতিবছরই দোকানে নতুন কাপড়ের পসরা সাজাতে রোজার শুরুতেই হাজির হন বাবুরহাটে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় উৎপাদিত কাপড় ছাড়াও বিদেশ থেকে আমদানি করা কাপড় বিক্রি হয় এখানে।

বাবুরহাটকে কেন্দ্র করে নরসিংদীজুড়ে গড়ে উঠেছে সহস্রাধিক টেক্সটাইল, ডায়িং, এমব্রয়ডারিসহ সহায়ক শিল্প-কারখানা। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। ঈদকে সামনে রেখে এখন ব্যস্ত এসব শিল্প-কারখানার শ্রমিকরা।

ব্যবসায়ীরা জানান, স্বাভাবিক সময়ে বাবুরহাটে সাপ্তাহিক বেচাকেনা দেড় শ থেকে দুই শ কোটি টাকা হলেও ঈদকে ঘিরে ব্যবসা দ্বিগুণ হয়েছে। তাঁদের মতে, ভারতীয় বা চীনা নয়, এবার ঈদবাজারে ক্রেতাদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি দেশীয় কাপড়ে।

গত শনিবার বাবুরহাটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি অলিগলিতে ভ্যানের লম্বা সারি। হবিগঞ্জ থেকে আসা আশামনি বস্ত্রালয়ের রফিকুল ইসলাম বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো এবং এক হাটে সব ধরনের কাপড় পাওয়া যায় বলে কাপড় ব্যবসায়ীদের কাছে বাবুরহাট জনপ্রিয়। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো এখানে কোনো খাজনা দিতে হয় না। এই হাটের বেশির ভাগ কাপড় স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয় বিধায়, কম দামে ভালো মানের কাপড় পাওয়া যায়।

বাবুরহাট প্লাজায় সুমন টেক্সটাইলের শোরুমে কথা হয় ময়মনসিংহের ফুলপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার অনাবিল বস্ত্রালয়ের এ কে এম নজরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, মফস্বলের মানুষ একমাত্র ঈদের সময়ই কাপড় কেনেন। আর বাবুরহাটে সব ধরনের ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী সব মানের কাপড় পাওয়া যায়। তাই আমরা এখানে আসি কাপড় কিনতে।

আবেদ টেক্সটাইল প্রসেসিং লিমিটেডের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রিজেন্ট ফ্যাব্রিকসের এমডি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এবার ঈদে আমাদের নিজস্ব সুতায় নিজেদের তৈরি উন্নতমানের শাড়ি, থ্রিপিস ও থান কাপড়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া আমাদের উৎপাদিত কাপড়ের রং ও গুণগত মান বিবেচনায় দামও ক্রেতাদের নাগালে। এবার ডিজাইনেও বৈচিত্র্য আনা হয়েছে।

আলিফ লুঙ্গির প্রোপ্রাইটর মো. সুমন বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে আমরা ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ৩০০ থেকে দুই হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন মানের নতুন লুঙ্গি এনেছি। আধুনিকতায় লুঙ্গি ব্যবহারের প্রবণতা কমলেও ঈদকে সামনে রেখে সবাই নতুন লুঙ্গি কেনেন।’

শেখেরচর বাবুরহাট বণিক সমিতির সভাপতি বাকির হোসেন বলেন, বাজারটিতে নিয়মিত সাপ্তাহিক হাটে (বৃহস্পতিবার-রবিবার) দেড় শ থেকে দুই শ কোটি টাকা বেচাকেনা হলেও ঈদ উপলক্ষে বেচাকেনা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়। এ বছর ঈদে আশানুরূপ বিক্রিতে ব্যবসায়ীরা খুশি


সর্বশেষ খবর