গলাচিপায় ৭০ লাখ টাকার আম উৎপাদন হবে
আমারবাংলা ডেস্কঃ গলাচিপায় অধিক ফলন দেখে আম চাষে ঝুঁকছে কৃষক। আম পদ্ধতির সীমিত জ্ঞান থাকার কারণে প্রথম দিকে ফলন ভালো না হলেও এ বছর ঝড়-বন্যার প্রভাব থাকলেও আমের অধিক ফলনে খুশি বাগান মালিকরা। উপকূলীয় এ এলাকায় আম চাষে উৎসাহী করলে তরমুজ, আলুর মতো আম চাষেও সাফলতা আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। সরেজমিনে বিভিন্ন আমবাগান ঘুরে জানা যায়, সঠিক তদারকি না থাকায় সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এসব কৃষকদের।
আম চাষি মাহবুবুল আলম দুধা মিয়া জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে খুলনায় দৌলতপুর কৃষি কলেজে বেড়াতে যাই। সেখানে আমবাগান দেখে অনুপ্রাণিত হই। ওই সময় সেখান থেকে ন্যাংড়া ও হিমসাগর জাতের আমের কয়েকটি কলম এনে পরীক্ষামূলকভাবে বাড়িতে চাষ করি। এ বছরও ঝড় ও বন্যায় আমের গুটি ঝরে যায়। এর পরও সব খরচ বাদ দিয়ে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা লাভ থাকবে। গোলখালীর আমবাগান চাষি নুরুজ্জামান বলেন, ‘দেড় একর জায়গায় আমবাগান রয়েছে। কিন্তু সঠিক পরিচর্যা করতে না পারায় ফলন ভালো আসেনি। এ বছর খুব একটা লাভ হবে না।’
গলাচিপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ বলেন, ‘গলাচিপা উপজেলায় এ বছর ৩৫ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। এসব বাগানে এ বছর প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকার আম উৎপাদন হবে। সরকারিভাবে বসতবাড়িতে বারি-৪ জাতের আমের চারা দেওয়া হয়েছে। আশাকরি আগামী পাঁচ-সাত বছরের মধ্যে গলাচিপায় অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে আমবাগান করতে উৎসাহী হবেন এবং লাভবান হবেন।’