টেস্ট ক্রিকেটার থেকে যেভাবে বিশ্বকাপ দলে রাহী
খেলাধুলা ডেস্কঃ বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে আবু জায়েদ রাহীর নাম অনেকটা হঠাৎ করেই এসেছে। প্রাথমিকভাবে মূল প্রশ্ন ছিল, তাসকিন আহমেদ নাকি শফিউল ইসলাম? বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকরা বেছে নিয়েছেন আবু জায়েদ রাহীকে। তাসকিন আহমেদ মূলত ফিটনেস সমস্যার কারণে দলে সুযোগ পাননি। এরপর আয়ারল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে ৫ উইকেট নিয়ে নিজের জায়গা পাকা করে ফেলেন রাহী।
আবু জায়েদ রাহী ৫টি টেস্ট ম্যাচ, দুটি ওয়ানডে ম্যাচ ও ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন এখন পর্যন্ত।তবে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ডাক পাওয়ার আগে কখনো-কোনো আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ খেলেননি আবু জায়েদ রাহী। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ২৫ বছর বয়সী আবু জায়েদ রাহী ১০ ম্যাচে নেন ১২ উইকেট। চার বা পাঁচ উইকেট না পেলেও আবু জায়েদ রাহী নিয়মিত বিরতিতে উইকেট এনে দিতে সক্ষম ছিলেন এই টুর্নামেন্টে।
তবে নির্বাচকদের ভাষ্যমতে নিউজিল্যান্ড সফরে রাহীর সুইং বোলিং সবাইকে অবাক করেছে। ইংল্যান্ডেও কন্ডিশন এক থাকায় এবং তাসকিন যথাযথ ফিটনেস প্রমাণ করতে না পারায় রাহী বিশ্বকাপ দলে সুযোপ পেয়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ন্যাশনাল ম্যানেজার নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘এই দলে যারা খেলছে তাদের সবার ক্ষেত্রেই প্রত্যাশা থাকবে, আবু জায়েদ রাহীকে একাদশে শুরুতে ভাবা নাও হতে পারে, কিন্তু আবহাওয়া যদি সুইং অনুকুলে থাকে সেক্ষেত্রে রাহীকে কাজে লাগানো যেতে পারে।
তাসকিনকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘তাসকিন ম্যাচফিট কি না সেটা আসলে দেখার সুযোগ হয়নি, এটা দুঃখজনক বটে। তাসকিনের প্রতিভা ও গতি আছে, এই বিশ্বকাপে কাজে আসতে পারত, কিন্তু তার প্রতি অন্যায় হয়নি। রাহীও সুযোগ পেলে ভালো করবে বলেই আমি মনে করি, কারণ সে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে যে পাঁচ উইকেট নিয়েছে সেটা তার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। এটা জরুরী নতুন কারো জন্য।