সব

ইংলিশদের সাথে হারলেও স্বস্তি দিয়েছে সাকিবের সেঞ্চুরি

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Sunday 9th June 2019at 12:03 pm
FILED AS: খেলা
58 Views

 

ডেস্ক রিপোর্টঃ দুই দলই নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলেছে। কার্ডিফে কাল বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ময়নাতদন্তের ফল এটাই। শুরুতে জেসন রয় আর জনি বেয়ারস্টো বিশ্বকাপ স্বাগতিকদের উড়ন্ত সূচনা দেওয়ার পর জস বাটলারের মুগুরভাজায় ম্যাচের প্রথমভাগেই কার্যত ম্যাচ শেষ। রুটিনমাফিক দ্বিতীয় সেশনে সাকিব আল হাসান শুধু বুঝিয়েছেন কেন তিনি ‘স্পেশাল’। টানা দুই ফিফটির পর গতকাল শনিবার সেঞ্চুরি করেছেন এ অলরাউন্ডার। বাংলাদেশ দলের সবার জন্য টুর্নামেন্টের বাকি অংশে এ ইনিংসটি হতে পারে অনুপ্রেরণাও।

ওয়ানডেতে ৩৮৭ রান বাংলাদেশ কোনোকালে করেনি। সর্বোচ্চ ৩৩০ রানের ইনিংসটা এই সেদিনের, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওভাল ম্যাচে। ৩৬৫ ওয়ানডেতে যা মোটেই ১৪তম তিনশোর্ধ্ব ইনিংস বাংলাদেশের। তার ওপর ইংল্যান্ড নেমেছে চার পেসার নিয়ে, যাঁদের বোলিংয়ের গড় গতি ১৪০ কিলোমিটারের ওপর। এঁদের শিরোমণি জোফ্রা আর্চার আবার নিয়মিত ১৫০ কিলোমিটারে গোলা ছোড়েন। সৌম্য সরকারকে ক্রিজবন্দি রেখে তাঁর একটি বল স্টাম্পের বেলস ফেলে ‘ছক্কা’ তো আর এমনি এমনি হয়নি! নতুন বলের বিভীষিকাময় অধ্যায়ের পর ইংলিশদের আছে পুরনো বলে ইয়র্কার আর রিভার্স সুইংয়ে ব্যাটসম্যানের নাভিশ্বাস তুলে দেওয়ার অস্ত্রও। ব্যাট বদলে শেষ চেষ্টাটা করতে চেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু বেন স্টোকসের ইয়র্কারে মুহূর্তেই ছত্রখান তাঁর ১২১ রানের আত্মবিশ্বাস।

এতে মন খারাপ করার কিছু নেই। ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা দুরমুজ করবে আর পেসাররা উড়িয়ে গুঁড়িয়ে দেবে—এ তো জানাই ছিল বাংলাদেশ দলের। সুযোগ একটাই ছিল, যদি এউইন মরগ্যানদের ভুলের ফাঁদে ফেলে নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলা যায়। তবে প্রতিদিনই তো আর সব অঙ্ক মেলে না। কার্ডিফের ম্যাচে মেলেনি, জেতেনি বাংলাদেশও।

তবু দুটি বিশেষ প্রাপ্তি আছে মাশরাফি বিন মর্তুজাদের। অবশ্য দুটিই ব্যক্তিগত। তবে দলীয় খেলায় ব্যক্তিগত অর্জনও টনিকের কাজ করে। যেমন সাকিবের ব্যাটিং। অসম্ভবের পেছনে ছুটতে গেলে ঝুঁকি নিতে হয়। তবে ঝুঁকি নেওয়ার বেলায় দ্বিধায় ভুগলে ব্যর্থতার সম্ভাবনা আরো বেড়ে যায়। বরং দ্বিধাহীন ঝুঁকিতে সুফল মেলার সম্ভাবনা বাড়ে। সাকিবের গতকালের ইনিংসটি যেমন। থার্ডম্যান দিয়ে শুরুতে কয়েকবারই বল উড়ে গেছে তাঁর ব্যাট হয়ে। এর যেকোনোটি সামান্য হেরফেরে ক্যাচ হতে পারত। কিন্তু ফ্ল্যাশ করলেও নির্দ্বিধায় জোরে করেছেন সাকিব, যা উড়ে গেছে স্লিপ কর্ডনের পাশ দিয়ে। ড্রাইভ, কাট, পুল—কোনো শটেই জড়তাকে প্রশ্রয় দেননি সাকিব। সাহসীকে ভাগ্যও সহায়তা করে, সাকিবও ন্যায্য সে সহযোগিতা পেয়েছেন। এখন তাঁকে দেখে যদি দলের হেভিওয়েট ব্যাটসম্যানরা মনের দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে পরের ম্যাচগুলো খেলতে নামেন! ভাবা যায়, একজন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে একটার পর একটা সিঁড়ি ভেঙে গন্তব্যের দিকে এগোচ্ছেন। আগের তিনটি বিশ্বকাপে সাকিবের নৈপুণ্য আহামরি কিছু নয়। কিন্তু এবারের আসরে তাঁর তিনটি ইনিংস যথাক্রমে ৭৫, ৬৪ ও ১২১। বিশ্বকাপে সাকিবের প্রথম সেঞ্চুরি হয়তো আরো বড় কোনো অর্জনের ইঙ্গিতও। সফলতম ব্যাটসম্যানদের তালিকার শীর্ষে আছেন। বোলিং যোগ করলে বিশ্বকাপের মাঠেও সাকিবই সেরা অলরাউন্ডার।


সর্বশেষ খবর