কর্মচারীদের চুরি বন্ধ করে বিপাকে ঝিনাইদহ ওজোপাডিকো’র নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র সরকার
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ ওয়েষ্টজোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ (ওজোপাডিকো) এর অসৎ কর্মচারীদের চুরি আর দুর্ণীতি ঠেকাতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র সরকার।
তার বিরুদ্ধে ওই সব কর্মীচারীরা জোটবদ্ধ হয়ে নামে বেনামে চিঠি পাঠিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, খুলনার এমডি ও ওজোপাডিকোলির প্রধান প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন দপ্তরে। কর্মচারীদের বক্তব্য নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ সরকার তাদের সাথে অশালীন আচরণ করেন। অশ্রাব্য ভাষায় গালি-গালাজ ও তুই-তুখারী করেন।
অন্যদিকে, নির্বাহী প্রকৌশলীর পরিতোষ সরকার জানান, গ্রহকদের অহেতুক হয়রানী, মিটার লাগানোর নাম করে ঘুষ নেওয়া, মধুপুর এলাকায় চোরাই মিটার লাগানো ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইন বন্ধ করে শত শত গ্রাহককে এই গরমে দুর্ভোগ দেবার দায়ে ওই সব অসৎ কর্মচারী জড়িত। এটা প্রমানিত হওয়ায় তিনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। এই জন্য তারা আমার বিরুদ্ধে ক্ষেপেছে, মহিলা এমপির দিয়ে ফোন করিয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া বিরম্বিত করছে।
এদিকে, বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া কর্মচারীদের অনাস্থা ও অসন্তোষ পত্রে উল্লেখ করা হয়, অবিলম্বে এই কর্মকর্তাকে বদলি করা না হলে কোম্পানীর রাজস্ব আদায় ও উন্নয়নমুলক কাজ ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহের পৌরসভা গুলোতে কোটি কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল অনাদায়ী ছিল। নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ সরকার এই বিল আদায়ে পদক্ষেপ নিয়েছেন। সিস্টেম লস ২০/১৮ থেকে নামিয়ে ৯ তে নামিয়ে এনছেন। অফিস দুর্নীতি মুক্ত করেছেন। এ সব পদক্ষেপে নাখোশ হয়েছেন দুর্নীতিবাজ কর্মচারীরা।
নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র সরকার গনমাধ্যমকর্মীদের জানান, আমার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ দিয়েছে তারা চুরির সাথে জড়িত। তাদের চুরি আমি বন্ধ করে দিয়েছি। দুর্নীতি বন্ধ হওয়ার কারণে তারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যারা আমাকে অভিযুক্ত করছে, তারা অহেতুক ভাবে গ্রাহকদের হয়রানি করে। দিনের পর দিন গ্রাহকদের মিটার লাগানো, লাইন দেওয়া নিয়ে ঘোরায়। আমি এ অনিয়ম করতে দিচ্ছি না বলে এ কথা উঠছে।