মেসি-রোনালদোর মানসিকতার মিল-অমিল
খেলাধুলা ডেস্কঃ ফুটবলবিশ্বের দুই মহাতারকার নাম লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এক দশক ধরে ফুটবল অঙ্গন দখল করে রেখেছেন এই দুজন। তাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেমন বেশি, রেষারেষিও বেশি। দুজনের মধ্যে কে সেরা- এই প্রশ্নে বিভক্ত হয়ে আছে ফুটবল অঙ্গন। ভিনগ্রহের এই দুই ফুটবলার একজন আরেকজনের জন্য কতটা অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করেন – সেটি নিয়ে আলোচনা করাও একটি মজার বিষয়। দুজনের মানসিকতার পার্থক্যও আলোচনা হতে পারে।
মেসি ভক্তরা মনে করেন, মেসি ব্যক্তিগত অর্জনের বিষয়ে এতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মনোভাব পোষণ করেন না। তবে আসল বিষয় হলো, বাইরে প্রকাশ না করলেও মেসি রোনালদোর মতই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মানসিকতা সম্পন্ন একজন অ্যাথল্যাট। আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ডের ব্যক্তিগত পছন্দ ট্রফির পেছনে ছোটা। আপাতদৃষ্টিতে দেখে বলা যায়, মাঠে গোল না পাওয়া পর্যন্ত রোনালদো অখুশি থাকেন। এমনকি একটি গোল পাওয়ার পর আরেকটি না পাওয়া পর্যন্ত যেন তার ক্ষুধা মেটে না।
নিঃসন্দেহে রোনালদোর এই মনোভাবের কারণেই বর্ণাঢ্য ও ঈর্ষণীয় সব অর্জন রয়েছে তার ক্যারিয়ারে। এদিক থেকে মেসি অবশ্য একটু ভিন্ন ধরণের মানসিকতার খেলোয়াড়। নিজে গোল করার সুযোগ থাকলেও সতীর্থদের গোল বানিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে অথবা আরেকজনকে পেনাল্টি নেয়ার সুযোগ ছেড়ে দেয়ার ক্ষেত্রে কখনোই কার্পণ্য করতে দেখা যায় না তাকে। কোনো সতীর্থ গোল করলে সেই গোলের উদযাপনের সময়ও তার উচ্ছ্বাসের কমতি দেখা যায় না কখনোই।
অন্যদিকে রোনালদোকে একসময় স্বার্থপর খেলোয়াড় বলা হলেও দিনদিন মাঠের খেলা দিয়েই নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন এই পর্তুগিজ। মেসি আর রোনালদো একজন আরেকজনের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেন কিনা – এই প্রশ্নের উত্তরে লেস্টার সিটির ম্যানেজার ব্রেন্ডান রজার্স বলেন, ‘হয়তো অবচেতনভাবে দুজনই একজন আরেকজনের প্রতদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে আমার মনে হয় দুজনের মধ্যেই নিজেদেরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার এক ধরণের ক্ষুধা কাজ করে। তাদের মতো শীর্ষ সারির অ্যাথল্যাটদের ক্ষেত্রে এরকমটাই স্বাভাবিক।’
মেসি আর রোনালদো একজন আরেকজনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মত্ত – এমন ধারণা তাদের সমর্থকদের তর্ক-বিতর্কের স্বার্থে বা মিডিয়ার জন্য খুব রোমাঞ্চকর একটি প্রসঙ্গ হলেও, বাস্তবে সম্ভবত বিষয়টি এমনও নয়।