সরকার নির্ধারিত ন্যায্য মূল্যে ধান বিক্রি করতে এসে হতাশ চাষীরা
ফারুক হোসেন (শেরপুর)প্রতিনিধিঃ শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সরকার নির্ধারিত ন্যায্য মূল্যে ধান বিক্রি করতে এসে হতাশ হয়ে ফিরেছেন চাষীরা। চলতি মৌসুমে বোরো চাষী ও উৎপাদিত ধানের তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায় ইতিমধ্যেই ধান কেনা স্থগিত করেছেন খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ। ফলে হতাশাগ্রস্ত চাষীরা বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবী জানিয়েছেন সরকারের প্রতি।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে সরকারীভাবে ২৬ টাকা কেজি দরে মণপ্রতি ১ হাজার ৪০ টাকা নির্ধারিত মূল্যে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সরকারীভাবে ধান কেনার কথা। প্রথম দফায় ৫৭২ ও দ্বিতীয় দফায় ৯৫৩ মিলে দুই দফায় এ বরাদ্দের পরিমাণ দাড়িয়েছে এক হাজার ৫২৫ মেট্টিকটনে। ইতিমধ্যেই দুই ধাপে পৌরসভাসহ উপজেলার ৫ ইউনিয়নের সর্বমোট এক হাজার ৮০৬ জন কৃষককের কাছ থেকে গত ২০ জুলাই পর্যন্ত এক হাজার ২৮৬ মেট্রিকটন ধান সরকারীভাবে কেনা হয়েছে। বাকী রয়েছে মাত্র ২৩৭ মেট্টিকটন। চাষী ও উৎপাদিত ফসলের তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় বাকী ৭টি ইউনিয়ন বাকি থাকতেই স্থগিত করা হয়েছে সরকারীভাবে ধান কেনা। এমতাবস্থায় সরকারে দেওয়া মূল্য থেকে বঞ্চিত হতে চলেছে ৭ ইউনিয়নের হাজারো চাষী।
সূত্রমতে, পূর্ব ঘোষণা মতে চাপ সামলাতে গত ১৪ জুলাই থেকে নির্ধারিত সময় ও বার অনুযায়ী নালিতাবাড়ী পৌরসভা, নন্নী, কাকরকান্দি, বাঘবেড়, রূপনারায়নকুড়া ও যোগানিয়া ইউনিয়নের বোরো চাষীদের কাছ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত সরকারীভাবে এক হাজার ২৮৬ মেট্টিকটন ধান কেনা হয়েছে। বাকী রয়েছে পোড়াগাঁও, রাজনগর, নয়াবিল, রামচন্দ্রকুড়া, নালিতাবাড়ী, মরিচপুরান ও কলসপাড় ইউনিয়নের চাষীদের কাছ থেকে ধান কেনা। এক্ষেত্রে বরাদ্দ রয়েছে মাত্র ২৩৭ মেট্টিকটন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ২১ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়। যা থেকে উৎপাদিত ধানের পরিমান এক লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিকটন। সে তুলনায় ১ হাজার ৫২৫ মেট্টিকটন অপ্রতুল। ফলে সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে না পেরে হতাশায় ভোগছেন ৭ ইউনিয়নের হাজারো বোরো চাষী। এমতাবস্থায় অন্তত এক হাজার মেট্টিকটন বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবী জানিয়েছেন বঞ্চিত চাষীরা।
মরিচপুরান গ্রামের বোরো চাষী ফজলুর রহমান জানান, ২১ জুলাই রবিবার তাদের ধান কেনার কথা ছিল। শতশত কৃষক তাদের উৎপাদিত ধান নিয়ে খাদ্যগুদামে এসেছেন। কিন্তু হঠাৎ ধান কেনা স্থগিত হওয়ায় তারা বিপদে পড়েছেন।
নয়াবিলের বোরো চাষী জামাল উদ্দিন জানান, সবকিছু রেডি করছি, কৃষি কার্ড করছি। এখন শুনি ধান নেওয়া হবে না। যেমন করেই হোক, অন্য চাষীদের মতো আমরাও সরকারকে ধান দিতে চাই। এ জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবী জানিয়েছেন তিনি।
খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সম্রাট খান জানান, ইতিমধ্যে পৌরসভাসহ পাঁচ ইউনিয়নের কৃষদের কাছ থেকে ১ হাজার ২৮৬ মেট্রিকটন ধান কেনা হয়েছে। এখন বরাদ্দ বাকী রয়েছে মাত্র ২৩৭ মেট্রিকটন। অথচ বাদ পড়া ৭ ইউনিয়নে চাষীর সংখ্যা অনেক বেশি। চাপ সামলাতে না পেরে নিরুপায় হয়ে ধান কেনা স্থগিত করা হয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক খন্দকার ফরহাদ জানান, বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্র্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সময়ও হাতে রয়েছে। অতিরিক্ত বরাদ্দ পাওয়া গেলে বাদ পড়া ইউনিয়নগুলোর চাষীদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে সরকারীভাবে ২৬ টাকা কেজি দরে মণপ্রতি ১ হাজার ৪০ টাকা নির্ধারিত মূল্যে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সরকারীভাবে ধান কেনার কথা। প্রথম দফায় ৫৭২ ও দ্বিতীয় দফায় ৯৫৩ মিলে দুই দফায় এ বরাদ্দের পরিমাণ দাড়িয়েছে এক হাজার ৫২৫ মেট্টিকটনে। ইতিমধ্যেই দুই ধাপে পৌরসভাসহ উপজেলার ৫ ইউনিয়নের সর্বমোট এক হাজার ৮০৬ জন কৃষককের কাছ থেকে গত ২০ জুলাই পর্যন্ত এক হাজার ২৮৬ মেট্রিকটন ধান সরকারীভাবে কেনা হয়েছে। বাকী রয়েছে মাত্র ২৩৭ মেট্টিকটন। চাষী ও উৎপাদিত ফসলের তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় বাকী ৭টি ইউনিয়ন বাকি থাকতেই স্থগিত করা হয়েছে সরকারীভাবে ধান কেনা। এমতাবস্থায় সরকারে দেওয়া মূল্য থেকে বঞ্চিত হতে চলেছে ৭ ইউনিয়নের হাজারো চাষী।
সূত্রমতে, পূর্ব ঘোষণা মতে চাপ সামলাতে গত ১৪ জুলাই থেকে নির্ধারিত সময় ও বার অনুযায়ী নালিতাবাড়ী পৌরসভা, নন্নী, কাকরকান্দি, বাঘবেড়, রূপনারায়নকুড়া ও যোগানিয়া ইউনিয়নের বোরো চাষীদের কাছ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত সরকারীভাবে এক হাজার ২৮৬ মেট্টিকটন ধান কেনা হয়েছে। বাকী রয়েছে পোড়াগাঁও, রাজনগর, নয়াবিল, রামচন্দ্রকুড়া, নালিতাবাড়ী, মরিচপুরান ও কলসপাড় ইউনিয়নের চাষীদের কাছ থেকে ধান কেনা। এক্ষেত্রে বরাদ্দ রয়েছে মাত্র ২৩৭ মেট্টিকটন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ২১ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়। যা থেকে উৎপাদিত ধানের পরিমান এক লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিকটন। সে তুলনায় ১ হাজার ৫২৫ মেট্টিকটন অপ্রতুল। ফলে সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে না পেরে হতাশায় ভোগছেন ৭ ইউনিয়নের হাজারো বোরো চাষী। এমতাবস্থায় অন্তত এক হাজার মেট্টিকটন বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবী জানিয়েছেন বঞ্চিত চাষীরা।
মরিচপুরান গ্রামের বোরো চাষী ফজলুর রহমান জানান, ২১ জুলাই রবিবার তাদের ধান কেনার কথা ছিল। শতশত কৃষক তাদের উৎপাদিত ধান নিয়ে খাদ্যগুদামে এসেছেন। কিন্তু হঠাৎ ধান কেনা স্থগিত হওয়ায় তারা বিপদে পড়েছেন।
নয়াবিলের বোরো চাষী জামাল উদ্দিন জানান, সবকিছু রেডি করছি, কৃষি কার্ড করছি। এখন শুনি ধান নেওয়া হবে না। যেমন করেই হোক, অন্য চাষীদের মতো আমরাও সরকারকে ধান দিতে চাই। এ জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবী জানিয়েছেন তিনি।
খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সম্রাট খান জানান, ইতিমধ্যে পৌরসভাসহ পাঁচ ইউনিয়নের কৃষদের কাছ থেকে ১ হাজার ২৮৬ মেট্রিকটন ধান কেনা হয়েছে। এখন বরাদ্দ বাকী রয়েছে মাত্র ২৩৭ মেট্রিকটন। অথচ বাদ পড়া ৭ ইউনিয়নে চাষীর সংখ্যা অনেক বেশি। চাপ সামলাতে না পেরে নিরুপায় হয়ে ধান কেনা স্থগিত করা হয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক খন্দকার ফরহাদ জানান, বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্র্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সময়ও হাতে রয়েছে। অতিরিক্ত বরাদ্দ পাওয়া গেলে বাদ পড়া ইউনিয়নগুলোর চাষীদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে।
Attachments area