সব

তুরাগে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ছাত্র নির্যাতনের অভিযোগ থানায় জিডি

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Thursday 8th August 2019at 11:57 pm
93 Views

 

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর তুরাগ কামারপাড়া স্কুল এন্ড কলেজে স্কুল শাখার এক শিক্ষার্থীর নাক-মুখ ডাস্টার দিয়ে থেতলে দিয়েছে স্কুল শিক্ষিকা । পরে দ্বিতীয় শ্রেনীর স্কুল ছাত্র মো: শাহীনকে গুরুতর রক্তাক্ত আহত অবস্থায় উদ্বার করে তার পরিবার।

প্রথমে টঙ্গী ১০০ শর্য্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য শাহিনকে তুরাগের ইস্টওয়েস্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়েছে।

শ্রেনী কক্ষে সহপাঠির সাথে কথা বলার জের ধরে গত মঙ্গলবার রাজধানীর তুরাগের কামারপাড়া স্কুল এন্ড কলেজে এঘটনা ঘটে। আহত স্কুল ছাত্রের পিতা মো: নুরুল আলম নিজে বাদী হয়ে তুরাগ থানায় স্কুল শিক্ষিকা শাম্মী আক্তারের বিরুদ্বে একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) দায়ের করে-যার জিডি নম্বর হলো-২৯২।

আহত শিক্ষার্থী পিতা মো: নুরুল ইসলাম জানান, মো: শাহিন কামারপাড়া স্কুল এন্ড কলেজে স্কুল শাখায় দ্বিতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী। তার রোল নম্বর-৭। ঘটনার দিন সকালে শ্রেনী কক্ষে শাহিন তার এক সহপাঠির সাথে কথা বলার অপরাধে ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুল শিক্ষিকা শাম্মী আক্তার শাহিনকে অহেতুক ভাবে তার হাতে থাকা ডাস্টার দিয়ে মুখে-নাকে ও শরীরে গুরুতর আঘাত করে। এতে করে শাহিনের নাক দিয়ে রক্ত ঝড়ে। এতে সে গুরুতর আহত হয়ে পড়লে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্বার করে টঙ্গী ১০০ শর্য্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। পরবর্তীতে শাহিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তুরাগের ইস্টওয়েস্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়েছে।

শাহিনের পিতা মো: নুরুল ইসলাম আরও বলেন, উক্ত ঘটনার পর প্রতিকার চেয়ে ইতিমধ্যে স্কুল কমিটির ও প্রধান শিক্ষিকার বরাবরে একটি আবেদন করা হয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান এবিষয়ে আমাকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বললে আমি বাধ্য হয়ে গত মঙ্গলবার তুরাগ থানায় সাধারণ ডায়রী (জিডি)করি। জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা তুরাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম।

শাহিনের পিতার নাম মো: নুরুল ইসলাম। মাতা রোকেয়া বেগম। কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার বাতাবাড়িয়া গ্রাম। বর্তমানে তারা তুরাগের খায়েরটেক শাপলারমোড় (কামারপাড়া) এলাকায় একটি ভাড়াবাড়িতে বসবাস করছেন।

এবিষয়ে তুরাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন,বিষয়টি আইনগত দিক বিবেচনায় নিয়ে গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচেছ।


সর্বশেষ খবর