ছাত্রলীগকে সততা ও আদর্শ নিয়ে চলতে হবেঃ প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছাত্রলীগকে সততা ও আদর্শ নিয়ে সংযমের সঙ্গে চলতে হবে। ছাত্রলীগ নিয়ে আর কোনো নালিশ (অভিযোগ) শুনতে চাই না। ছাত্রলীগের পর যুবলীগ ধরেছি। এ অবস্থায় নিজেদের ইমেজ বাড়াতে হবে। নীতি-আদর্শ নিয়ে সংযমের সঙ্গে চলতে হবে।
বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগ নেতারা গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এদিন ছাত্রলীগের নতুন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে সংগঠনের কেন্দ্রীয়, মহানগর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নেতারা দেখা করতে আসেন। এ সময় তারা তাদের সাংগঠনিক নেত্রীর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন।
আগামী দিনের চলার পথে ছাত্রলীগ নেতাদের দিকনির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সমাজের অসঙ্গতিগুলো এখন দূর করব। একে একে এসব ধরতে হবে। আমি করব। জানি কঠিন কাজ, কিন্তু করব।’
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মানুষের পাশে থাকতে হবে। সবার আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।
এ সময় ছাত্রলীগের দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও বি এম মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি তানজিল ভূঁইয়া তানভীর, রেজাউল করিম সুমন, সোহান খান, আরিফিন সিদ্দিক সুজন, আতিকুর রহমান খান, ইশাত কাসফিয়া ইরা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ চৌধুরী, আরিফুজ্জামান আল ইমরান, শামস-ই-নোমান, শাকিল ভূঁইয়া, মহিউদ্দিন আহম্মেদ, বেনজীর হোসেন নিশি, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবরিনা ইতি, মামুন বিন সাত্তার, সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়, দক্ষিণের সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ।
নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে গত শনিবার ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আল-নাহিয়ান খান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।