সব

ঝিনাইদহে ছাত্র হোষ্টেলের পানি জমে নষ্ট হচ্ছে সওজের ২৩ কোটি টাকার রাস্তা

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Sunday 22nd September 2019at 9:37 pm
39 Views

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজ ছাত্র হোস্টেলের পানিতে সড়ক বিভাগের ২৩ কোটি টাকার রাস্তাা নষ্ট হচ্ছে। পয়োনিস্কাষন নিয়ে দুই দপ্তরের মধ্যে শুরু হয়েছে ঠেলাঠেলি। অথচ মাত্র ২/৩ টি লেবার দিয়ে অস্থায়ী একটি ড্রেন করে দিলেই জমে থাকা পানি বেরিয়ে যেতে পারতো। বিষয়টি জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে সমন্বয় কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। এদিকে ছাত্র হোস্টেলের পানিতে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার মসৃন পরিপাটি প্রশস্ত রাস্তা।

গত বছর ঝিনাইদহে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর একটি প্যাকেজের মাধ্যমে ২৩ কোটির বেশি টাকা ব্যায়ে রাস্তাটি নির্মাণ করে। সব সময় রাস্তার উপরে পানি জমে থাকার কারণে একদিকে যেমন নোংরা পরিবেশে মশা মাছির বংশ বিস্তারর ঘটছে, অন্যদিকে রাস্তার আয়ুস্কাল নষ্ট হচ্ছে। কথায় আছে সময়ে এক ফোঁড় আর অসময়ে দশ ফোঁড়। সময় থাকতে যদি সরকারি কেসি কলেজ কর্তৃপক্ষ ভবন বাস্তবায়ন সংস্থার মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন করতো, তাহলে বিপুল টাকায় নির্মিত এই রাস্তাটি নষ্ট হতো না।

কিন্তু এই পানির জলাবদ্ধতা নিরসনে সড়ক ও জনপথ এবং কেসি কলেজ কর্তৃপক্ষের মধ্যে চিঠি চালাচালিতে সময় পার হয়ে যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে হোস্টেল থেকে ২০০ গজ পর্যন্ত পশ্চিমের দিকে নোংরা এই পানি এলোমেলো ভাবে প্রবাহিত হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় কেসি কলেজ মার্কেটের দোকানদাররা প্রবাহমান এই নোংরা পানির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তাদের দোকানের সামনে সব সময় ছাত্র হোস্টেলের নোংরা পানি জমে থাকছে। এতে করে খরিদ্দারসহ জনসাধারনের চরম ভোগান্তি পেতে হচ্ছে। এতে পরিবেশ বিনষ্ট হয়ে জনস্বাস্থ্য হুমকীর মুখে পড়েছে। পথচারিরা প্রতিদিন নোংরা পানিতে পা ভিজিয়ে চলাচল করছেন। এতো তারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী আহসানুল কবির জানিয়েছেন তারা এ বিষয়ে কেসি কলেজ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন, কিন্ত কলেজ কর্তৃপক্ষ তাতে কোন সাড়া দেয় নি। তিনি বলেন হোস্টেলের এই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করা হলে তাদের রাস্তা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নষ্ট হয়ে যাবে।

এ বিষযয়ে ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজের অধ্যক্ষ বি এম রেজাউল করিম জানান, বিষয়টি নিয়ে সমন্বয় কমিটির সভায় কথা হয়েছে। আমাদের হোস্টেলের মধ্যে পানি ধারণের কোন ব্যবস্থা নেই। তিনি বলেন আমি খবর পেয়ে লোক পাঠিয়ে কিছুটা পরিস্কার করে দিয়েছি।

তিনি বলেন পৌরসভা থেকে ড্রেন করা হলে হয়তো এ সমস্যা থাকবে না।


সর্বশেষ খবর