সব

চোয়ারাই গালর দাঁত বেয়াগ্গুন ফেলাই দিইয়ুম

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Thursday 26th September 2019at 8:19 pm
27 Views

আমারবাংলা ডেস্কঃ চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও নগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরীকে হুমকি-ধমকিসহ অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগ পাওয়া গেছে পটিয়ার এমপি ও হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের বিরুদ্ধে।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে দিদারুলের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন শামসুল হকের ছেলে নাজমুল করিম শারুন। কথা বলার এক পর্যায়ে প্রবীণ ক্রীড়া সংগঠক দিদারুলকে হুমকি-ধমকিসহ অশ্রাব্য ভাষায় গালি দেন শারুন।

এ ঘটনায় নিরাপত্তা ও আইনি সুরক্ষা চেয়ে সম্প্রতি নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি আবেদন করেছেন দিদারুল আলম চৌধুরী। আবেদনে দিদারুল আলম চৌধুরী উল্লেখ করেন, তিনি আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ছিলেন। পরবর্তীতে ২০০৭ সাল থেকে তাকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রাখা হয়। সেই হিসেবে প্রিমিয়ার ব্যাংক জিইসি মোড় শাখায় ‘চট্টগ্রাম আবাহনী ফুটবল কমিটি’ নামে একটি যৌথ হিসাব খোলা হয়। হিসাবের স্বাক্ষরকারী হিসাবে ক্লাবের মহাসচিব শামসুল হক চৌধুরী, ম্যানেজার সাইফুদ্দিনের পাশাপাশি দিদারুল আলমের স্বাক্ষর নেওয়ারও কথা সব ধরনের লেনদেনে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তাকে অন্ধকারে রেখে ওই হিসাব থেকে টাকা পয়সা লেনদেন করা হচ্ছিল। সেজন্য দিদারুল এ মাসে অ্যাকাউন্ট বন্ধের আবেদন করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সব ধরনের লেনদেন স্থগিত রাখে। এরপর এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে শারুন দিদারুল আলমকে ফোন করেন।

দিদারুল আলম ও শারুনের কথোপকথনের কিছু অংশ হুবহু তুলে ধরা হলো—

শারুন : আর আংকেল আপনি ওই চিঠিটা উইথড্র করে ফেলবেন। ওইটা দরকার নাই।

দিদারুল : ওইটাৃ ওইটা ক্লাবের বিষয়। ওইটা আমি তোমার আব্বার সাথে বসে কথা বলবো।ৃ ওকে।

শারুন : ওইগুলাৃ ওইগুলা দরকার আছে শুধু শুধু?

দিদারুল : আশ্চর্য্য কথা এনা। আমার যে ৃ

শারুন : ওইটা দিয়ে কিছু হবে যে না। এটা আপনার প্রতি আমাদের ৃ

দিদারুল : না হইলে মনে করো আমার একটা আপত্তি থাকলে ভবিষ্যতে ৃ

শারুন : ঠিক আছে আপনার আপত্তি আপনি রাখেন। আমরা এইরকম কতো আপত্তি দিতে পারি না বিভিন্ন জায়গায়ৃ

দিদারুল : ঠিক আছে। তুমি রোববারে আসনি।

শারুন : আপত্তি কি এখানে আপনি একা দিতে পারেন নাকি? আপত্তি তো আমরাও দিতে পারি।

দিদারুল : ক্লাবের ব্যাপারে তোমার আব্বার সাথে বসে কথা বলবো

শারুন : ক্লাবের ব্যাপারে কিসের কথা? ক্লাবের ব্যাপারে যা কথা হওয়ার হইছে আর কথা বলার দরকার নেই। আপনি আপনার ক্ষমতা দেখাইছেন তো, এখন আমাদেরটা আমরা দেখাবো।

দিদারুল : ক্ষমতা-টমতা কিচ্ছু না।ৃ

শারুন : দেখাইছেন তো। আপনি ক্ষমতা দেখাচ্ছেন না?

দিদারুল : আমাদের সেইফের জন্য করতে হবে না?

শারুন : আমরা যদি ক্ষমতা দেখাই আপনি ১%ও টিকতে পারবেন?

দিদারুল : না না, আমি ১০০% টিকতে পারবো। আমি হইলাম শেখ মুজিবের আদর্শিক সন্তান।

শারুন : এগুলাৃ এগুলা আংকেলৃ এইসবৃ এইসবৃ এইসব গালগোল অন্য জায়গায় কইরেন। আমার সাথে কইরেন না। আমি সম্মান দিছি সম্মান নিয়ে থাইকেন।

দিদারুল : শোন আমি সাগরেদ নই। তোমার আব্বা তো জাতীয় পার্টি করে, এখন আওয়ামী লীগে আইসাৃ

শারুন : এগুলা শেখ হাসিনা বুঝবে। আপনার বোঝার দরকার নাই। রাখেন মিয়া ফালতুৃ

দিদারুল : আমরা তো শাহজাদা, সাগরেদ না।

শারুন : আমি আপনাকে সম্মান দিয়ে কথা বলছি গায়ে লাগতেছে না?

দিদারুল : আমি তোমাকে এইজন্যই ফোন দিই নাই। তুমি এক কাজ করো রোববারে আইসাৃ

শারুন : রাস্তাঘাটে যখন প্যান্ট শার্ট খুইলা দিমু তখন বুঝবেন। বেয়াদবি তো এখনও দেখেন নাই। সম্মান করে কথা বলছি গায়ে লাগতেছে না?

দিদারুল : অ্যাঁ অ্যাঁ? তুমি রাস্তাঘাটেৃ

শারুন : আপনি উল্টাপাল্টা কথা বলতেছেন কিসের জন্য?

দিদারুল : উল্টাপাল্টা কী বললাম? আরে শোন তোমার বাবা বিএনপি-যুবদলেৃএরপর জাতীয় পার্টি কইরা এখনৃ

শারুন : গালবাজি যেডে এডে গরিবি রাস্তাঘাটত চোয়ারাই গালর দাঁত বেয়াগ্গুন ফেলাই দিইয়ুম। বেয়াদব হডিয়ার! (গালবাজি যেখানে-সেখানে করবি রাস্তাঘাটে চড় মেরে মুখের দাঁত সবগুলো ফেলে দেবো। বেয়াদব কোথাকার!)

দিদারুল : এরপরে জাতীয় পার্টি গরিৃ

শারুন : এই মিয়া তোরে রাস্তাত ধরি পিডিব মাইনস্যে। বেয়াদব! তুই আঁরে ফোন কিল্লাই দিয়ছ দে? এই তুই আঁরে ফোন কিল্লাই দিয়ছ দে? তোরে আঁই ফোন দিতো হয়িলাম না? তুই আঁরে ফোন কিল্লাই দিয়ছ? (এই মিয়া তোকে রাস্তায় ধরে পেটাবে মানুষ। বেয়াদব! তুই আমাকে ফোন কেন দিয়েছিস? এই তুই আমাকে ফোন কেন দিয়েছিস? তোকে আমি ফোন দিতে বলেছিলাম? তুই আমাকে ফোন কেন দিয়েছিস?)

দিদারুল : আমি তো অর্জিনাল।

শারুন : তোরে আঁই ফোন দিতো হয়িলাম না? তুই আঁরে ফোন কিল্লাই দিয়ছ দে? (তোকে আমি ফোন দিতে বলেছিলাম? তুই আমাকে ফোন কেন দিয়েছিস?)

দিদারুল : এই দেখ না তোমার বেসিক যেটা সেটাৃ তুমি উল্টাপাল্টাৃ. এটাই তো তোমাদের বেসিকৃ

শারুন : তুমি আমারে ফোন দিছ কেন? ফালতু কোথাকার। আমার বাপে যেটা করবে করুক না। আমার বাবা হুইপ। আর তুমি এসব গালবাজি করে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতেছো।

দিদারুল : রাস্তাঘাটে তুঁই প্যান্ট খুলিবি দে ব্যাডা! (রাস্তাঘাটে তুমি প্যান্ট খুলবে ব্যাটা!)

শারুন : আমি খুলবো না। মানুষজনে খুলবে যে।

 

সূত্র কালের কন্ঠ


সর্বশেষ খবর