ইলিশে সয়লাব দক্ষিণের হাট-বাজার
আমারবাংলা ডেস্কঃ রুপালি ইলিশে সয়লাব দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের হাট-বাজার। সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে ইলিশের কারণে অর্থনীতিতে গতি ফিরেছে। গত কয়েক বছরের মধ্যে ইলিশের দাম এখন নিম্নমুখী। এ কারণে কিছু ইলিশ ভারতে পাচার হচ্ছে আবার পূজা উপলক্ষে ভারতে রপ্তানির জন্য ব্যবসায়ীরা ঢাকা-দিল্লি দৌড়ঝাঁপ করছেন। সরেজমিন খবর নিয়ে এ তথ্য জানা যায়।
আরো জানা যায়, পটুয়াখালীর আলীপুর ও মহিপুর, পাথরঘাটা, কুয়াকাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ হাজার মণ ইলিশ উঠছে। অগভীর সমুদ্র, আন্দারমানিক মোহনা, রামনাবাত মোহনা, বুড়ো গৌরাঙ্গ মোহনায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফজলুর রহমান গাজী বলেন, ‘সাগরে এখন দুই সহস্রাধিক ট্রলার ইলিশ ধরছে। কয়েক দিন ধরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে জেলেরা একসঙ্গে সাগর থেকে ট্রলার নিয়ে উঠে আসছে। ফলে ইলিশের দাম কমে যাচ্ছে। তাতে জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে প্রতি মণ ইলিশ প্রকারভেদে ১০ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে এক কেজির চেয়ে বেশি ওজনের ইলিশ ৩০ হাজার টাকা মণে বিক্রি হচ্ছে।’
সরেজমিন খবর নিয়ে জানা যায়, যশোর শহরের বড় বাজারে ৫০ থেকে ৬০টি মাছের দোকান রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ইলিশের আধিপত্যের কারণে ১০০ জন ব্যবসায়ী শুধু ইলিশই বিক্রি করছেন। মাছ ব্যবসায়ী সমিতির নেতা শেখ পেয়ার মোহাম্মদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বর্তমানে প্রতিদিন বাজারে এক হাজার মণ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। ৩০০ টাকা কেজি থেকে ৭০০ টাকা কেজির মধ্যেই বেশি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য দ্রব্য ও মাছের চেয়ে ইলিশের দাম এখন খুবই কম।’ যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া গ্রামের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ইলিশের দাম কমার কারণে আমি ২৮টি ইলিশ কিনে ডিপ ফ্রিজে রেখেছি।’