স্বামীর আত্মহত্যার পর নিখোঁজ স্ত্রী, পুকুরে মিলল মরদেহ
এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ঃ গ্যাস ট্যাবলেট (ইঁদুর মারা বিষ) খেয়ে স্বামীর আত্মহত্যার পর ৩ দিন ধরে নিখোঁজ হওয়া স্ত্রীর মরদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উদ্ধারকৃত গৃহবধু সামতি রাণী (২০) ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামের বিলাশ পালের স্ত্রী ও পাশ্ববর্তী গ্রামের ভেলটু পালের কন্যা।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার সময় আমজানখোর ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামের জগেশ মাস্টারের পুকুর থেকে ওই গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়দের বরাতে বালিয়াডাঙ্গী থানার উপ-পরিদর্শক ইহাসাক আলী জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর ভোরবেলা স্ত্রীর সাথে অভিমান করে ওই গৃহবধুর স্বামী বিলাশ পাল গ্যাস টেবলে খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে পরিবার লোকজন তাকে উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সেখানে তার জ্ঞান ফিরলে সে বলে যে, সবাইকে ভয় দেখানোর জন্য এ কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে। স্বামীর মরদেহ সৎকার করার পর ২৮ সেপ্টেম্বর ভোররাতে নিখোঁজ হয় গৃহবধু সামতি রাণী। সোমবার সন্ধ্যায় তার লাশ জগেশ মাস্টারের পুকুরে ভাসমান দেখে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা।
আমজানখোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আকালু মুঠোফোনে জানান, স্বামীর শোক সইতে না পেরে পানিতে ডুবে আত্মহত্যা করেছে ওই গৃহবধু এমনটা প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। দুদিন ধরে বৃষ্টির কারণে মরদেহ দেখা যায়নি। বিকালে আকাশ পরিস্কার হলে গৃহবধুর মরদেহ চোখে পড়ে স্থানীয়দের।
তবে ওই গৃহবধুর বাবা ভেলটু পাল ও তার পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, মেয়েকে হত্যার পর পুকুরে ফেলে দিয়েছে গৃহবধুর শ্বশুড়বাড়ীর লোকজন।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি মোসাব্বেরুল হক মুঠোফোনে জানান, এর আগে গৃহবধুর স্বামীর আত্মহত্যার বিষয়টি গোপন করেছে ওই পরিবারের লোকজন। চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় মরদেহের সৎকার করার পর আমরা খবর পেয়েছি। স্বামীর মৃত্যুর পর গৃহবধুর নিখোজের বিষয়ে থানায় জানিয়েছিল গৃহবধুর বাবার পরিবারের লোকজন। গৃহবধুর মরদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও মর্গে পাঠানো হবে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে পুলিশ বলে জানান তিনি।