শেরপুরে শারদীয় দুর্গাপূজার কেনাকাটা জমে ওঠেছে
ফারুক হোসেন (শেরপুর)প্রতিনিধি : শেরপুরে জমে ওঠেছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্বজনীন উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার কেনাকাটা। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। এবারের পূজার কেনাকাটায় মহিলাদের শাড়ি আর তরুণীদের থ্রি-পিসের প্রতি সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ দেখা গেছে।
পূজার কেনাকাটায় শহরের অধিকাংশ বিপণীবিতান ও দোকানগুলোয় এখন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ভিড় করছেন।সরেজমিনে শেরপুর শহরের শহীদ বুলবুল সড়ক, রঘুনাথ বাজার, মুন্সিবাজার ও নিউমার্কেট এলাকায় অবস্থিত তৈরি পোশাকের দোকান এবং নয়আনী বাজার এলাকায় অবস্থিত কাপড় ও জুতার দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বিপুলসংখ্যক ক্রেতা পূজার কেনাকাটা করছেন। শিশু, নারী, তরুণ ও তরুণীরা পূজা উপলক্ষে আসা পোশাক দেখছেন।
তবে বিপণিবিতানগুলোতে নারী ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল বেশি। সামর্থের মধ্যে পছন্দের জামা, কাপড়, শাড়ি, জুতা ও প্রসাধনী সামগ্রী কিনে খুশিমনে বাড়ি ফিরছেন সবাই।পূজার বাজারে হিন্দু রমনীরা সবচেয়ে বেশী কিনছেন শাড়ি। ভারতীয় বেনারসী, শান্তিপুরী কাথান, সাউথ সিল্ক, বালিচুড়ি, রেশম, জামদানী, রাজগুরু, মিরপুরী জামদানী, হাফসিল্ক, জর্জেট ও কাঞ্জিবারাম নামের শাড়িগুলো চলছে বেশি। অপরদিকে তরুণীরা বিনয়, বিপ্লাস, ডিমান্ড, ইরানী, নজর নামের থ্রি-পিস কিনছেন।
শিশুদের আগ্রহ দেখা গেছে জিন্সের হাফপ্যান্ট, জামা ও গেঞ্জির প্রতি। আর পুরুষ ক্রেতারা কিনছেন জিন্সের প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট ও পাঞ্জাবি।শহরের নয়আনী বাজারে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেনাকাটা করতে আসা শম্পা দত্ত বলেন, পূজা উপলক্ষে প্রায় সব দোকানেই পছন্দসই পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। তবে দামটা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। শেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী অরুণিমা রায় বলেন, থ্রি-পিস পড়ে সহজেই চলাফেরা করা যায়। তাই পূজা উপলক্ষে এবার তিনি দুটি থ্রি-পিস কিনেছেন।জয় গোপাল বস্ত্রালয়ের মালিক সুবল চন্দ্র দে বলেন, এবার পূজার বেচাকেনা খুব ভালো।
বিশেষ করে মহিলাদের পোশাক হিসেবে শাড়ির সর্বোচ্চ বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে ২৫০০ টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে ভালো শাড়ি ও ১৫০০ টাকা থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে থ্রি-পিস পাওয়া যাচ্ছে। তবে ২৫০০ টাকা থেকে ৩৫০০ টাকা দামের শাড়ি বেশি চলছে বলে জানান তিনি।