সব

বাংলাদেশের ভূ-খন্ড দখলের চেষ্টা

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Friday 4th December 2015at 10:03 am
41 Views

16

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বঙ্গোপসাগরে আইনগতভাবে বাংলাদেশের মালিকানাধীন একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখলের চেষ্টা করছে মিয়ানমার। বাংলাদেশ তাদের এ পদক্ষেপের প্রতিবাদ করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ‘আমরা এ অঞ্চল দখলের চেষ্টা সম্পর্কে জানার পরপরই এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করেছি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তা বলেন, জুলাই মাসে মিয়ানমার জাতিসংঘের কাছে বঙ্গোপসাগরের মহিসোপানের একটি অংশ দাবি করে আবেদন করে। ‘মিয়ানমার তার দাবিতে বাংলাদেশের এবং ভারতের আইনগতভাবে প্রাপ্য মহিসোপানও দাবি করেছে। এটি জানার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা পাল্টা দাবি করেছি জাতিসংঘ যেন মিয়ানমারের দাবি প্রত্যাখান করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমারের দাবি আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এই দাবি আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের পরিপন্থী এবং এর বিরোধিতা করে আমরা জাতিসংঘের কাছে চিঠি দিয়েছি।’ আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে নির্ধারিত আইনগত সমুদ্রসীমা বাংলাদেশ ২০০৯ সালে জার্মানির হামবুর্গে সমুদ্র আইন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে (ইটলস) মিয়ানমারের সঙ্গে সুমদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য মামলা করে এবং ২০১২ সালে এর রায় হয়। ২০০৯ সালে হেগের সালিসি আদালতে ভারতের সঙ্গে সুমদ্রসীমা বিরোধ নিস্পত্তির জন্য মামলা করে এবং ২০১৪ সালে এর রায় হয়।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘উভয় আদালতই বলে দিয়েছে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমার বঙ্গোপসাগরের কতটুকু জায়গা পাবে এবং এর বাইরে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই।’ ২০০৮ সালে মিয়ানমার প্রথমবারের মতো বঙ্গোপসাগরের মহিসোপান দাবি করে জাতিসংঘের কাছে চিঠি দেয়। তখনও বাংলাদেশ এর প্রতিবাদ করে।  ২০১৫ সালের জুলাইয়ে মিয়ানমার আবার জাতিসংঘের কাছে সংশোধিত দাবি পেশ করে একটি  চিঠি দেয়। জাতিসংঘের কাছে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত মিয়ানমারের দাবি।

মিয়ানমারের দাবির প্রতিবাদে বাংলাদেশ তার চিঠিতে লিখেছে, ‘মিয়ানমার তার সংশোধিত প্রস্তাবে বঙ্গোপসাগরের যে মহিসোপান দাবি করেছে তার মধ্যে ইটলস ও সালিসি আদালত বাংলাদেশকে যে অংশ দিয়েছে সেটিও রয়েছে। বাংলাদেশ মনে করে মিয়ানমারের দাবি ইটলসের রায়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। শুধু তাই না, মিয়ানমারের দাবি সালিসি আদালতের রায়ের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’ বাংলাদেশ তার চিঠিতে আরও বলেছে, জাতিসংঘ যেন মায়ানমারের দাবি প্রত্যাখ্যান করে। কারণ তা না হলে বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে।


সর্বশেষ খবর