সব

বিদ্রোহী প্রার্থীদের কঠোর হুশিয়ারি হানিফের

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Friday 4th December 2015at 11:22 am
24 Views

33

 

স্টাফ রিপোর্টার ঃ  পৌরসভা নির্বাচনের কারো বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণ পেলে তাকে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক শাস্তি পেতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ। বৃহস্পতিবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি কথা বলেন। মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘একটি বিষয়ে আমার খুব কৌতূহল হচ্ছে। আওয়ামী লীগ থেকে আমরা যাদের মনোনয়ন দিয়েছি, তারা এখন প্রার্র্থী হিসেবে কাজ করছে। এর বাইরে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার জন্য, আমার মনে হয়- আমাদের দলের প্রার্থীদর চেয়ে মিডিয়ার উৎসাহই বেশী।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি কয়েক দিন থেকে দেখছি। বিভিন্নভাবে পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি হচ্ছে। আওয়ামী লীগে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে বাধা নেই? আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছে? এই তথ্যগুলো কোথা থেকে আসছে? এত উৎসাহ কেন?’ হানিফ বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি, এবার নির্বাচন হচ্ছে দলীয়ভিত্তিতে। দলীয় প্রধানের স্বাক্ষর করা মনোনয়নপত্র দেওয়া হচ্ছে প্রার্থীদের। এতে দলীয় প্রতীক ব্যবহার হচ্ছে। তাই এই নির্বাচনে কেউ দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করলে তাকে আমাদের গঠনতন্ত্র অনুসারে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি বহিষ্কার করা হবে।’

‘আওয়ামী লীগের যারা দীর্ঘদিনের নেতা-কর্র্মী তারা কেউই চাইবে না, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত হোক’ এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এই কারণে মনে করি, এই পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবে না।’ ‘হয়তো কিছু জায়গায়, মনোনীত প্রার্থীর পাশপাশি অনেকে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু এটার একটি কৌশলগত কারণ আছে’ দাবি করে তিনি বলেন, ‘কারণ আমাদেরকে অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুততার সঙ্গে প্রার্থী যাচাই-বাছাই করতে হয়েছে। সেক্ষেত্রে কোনো প্রার্থীর যদি নির্বাচন কমিশনের যাচাই-বাছাইয়ে প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়, সেজন্য ওই জায়গাটা যাতে শূন্য না থাকে সেজন্য কৌশলগত কারণে দুই একটি জায়গায় বিকল্প প্রার্থী থাকতে পারে।’

‘এর মানে এই নয়, এরা বিদ্রোহী হিসেবে, স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করবে। আমার বিশ্বাস, আমাদের নেতা-কর্মীরা সভানেত্রীর প্রতি অত্যন্ত অনুগত এবং দলের প্রতিও অনুগত। এ কারণে তারা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত হতে চাইবে না।’ ১৩ তারিখে প্রার্র্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ‘সেই কারণে এখন যদি কোথাও দেখে থাকেন, তাহলে আপনারা (সাংবাদিক) নিশ্চিত থাকতে পারেন, ১৩ তারিখের পরে সারা দেশে যে কয়টি পৌরসভায় নির্বাচন হচ্ছে, সেখানে একক প্রার্থী থাকবে।’

সরকার এক তরফাভাবে পৌরসভা নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছে বিএনপির এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিত্রে অপর এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, ‘বিএনপি জানে, তারা বর্তমানে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিরুদ্ধে তারা বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে জনগণের কাছ থেকে সাড়া পায়নি। আর জনগণের কাছ থেকে সাড়া না পেয়েই জনগণের ওপর পেট্রোল বোমা হামলা করেছে, গুপ্তহত্যাসহ অনেক অপকর্মের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছে। তার প্রমাণ এখনো পাওয়া যাচ্ছে।’ হানিফ আরো বলেন, ‘তাই বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণেই হয়তো এই ধরনের কাল্পনিক অভিযোগ উত্থাপন করছে। যাতে নিজেদের দিকে সাধারণ মানুষ ও ভোটারদের কিছুটা সিমপ্যাথি (সহানুভূতি) বা অনুকম্পা পাওয়া যায়। আমি মনে করি বিএনপির এই সমস্ত অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।’ পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আফম বাহাউদ্দিন নাসিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বিএম মোজাম্মেল হক প্রমখ।


সর্বশেষ খবর