সরকারের নির্দেশ মানছে না বিদ্রোহীরা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ঃ সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের পার্শ্ববর্তী শহর মোয়াদামাইয়াহতে আগামীকাল সোমবারের মধ্যে বিদ্রোহী বাহিনীকে অস্ত্র সমর্পণ ও নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে ফ্রি সিরিয়ান আর্মি (এফএসএ)। খবর: আল জাজিরা অনলাইন। আজ রোববার এফএসএর মুখপাত্র ও সংলাপ কমিটির সদস্য আবু আল খায়ের আল আত্তার আল জাজিরাকে বলেছেন, আমরা অব্যাহতভাবে ওই শহরটিকে রক্ষা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যেকোনো অবস্থাতেই আমরা সেখান থেকে নড়ছি না। অস্ত্র সমর্পণ করার প্রশ্নই ওঠে না।’ তবে তিনি এও বলেছেন, ‘স্থানীয় বিরোধী দলগুলো সরকারের সঙ্গে আলোচনার দরজাও বন্ধ রাখেনি।’ শনিবার সিরিয়ার সরকারি বাহিনী মোয়াদামাইয়াহ শহরটি ঘিরে রেখেছে। বিদ্রোহীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে, আগামী সোমবারের মধ্যে অস্ত্র সমর্পণ এবং নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের হুমকি দেয়া হয়েছে। মোয়াদামাইয়াহ মিডিয়া অফিস থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শহর সংলাপ কমিটি ও সরকারের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার জন্য একটি কঠোর বার্তা পাঠানো হয়। মোয়াদামাইয়াহ শহরটি সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সবেচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্থান। এখান থেকেই প্রথম ২০১১ সালের মার্চ মাস থেকে আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু হয়। আস্তে আস্তে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহে রূপ নেয়। যার ফলশ্রুতিতে এ পর্যন্ত আড়াই লাখের ওপর মানুষ মৃত্যুবরণ করে। বাস্তুচ্যুত ও শরণার্থী হয় কমপক্ষে এক কোটি। বিরোধীপক্ষের দাবি গত সপ্তাহে সরকারি বাহিনী ব্যারেল বোমা ফেলে পাঁচ বেসামরিকর নাগরিককে হত্যা করেছে। তারা এখানে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারেরও হুমকি দিয়েছে। তবে সরকারি বাহিনীর পক্ষ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বিদ্রোহীদের দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেছে, ‘সরকারি বাহিনী রাসায়নিক অস্ত্র বহন করছে, তাদের এ দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’ মোয়াদামাইয়াহভিত্তিক গণমাধ্যমকর্মী দানি কাবানি আল জাজিরাকে বলেছেন, শহরটির সঙ্গে অন্যান্য অঞ্চলের সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারি বাহিনীর ব্যারেল বোমা হামলায় আহতদের জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসাব্যবস্থা ও ওষুধের অভাব দেখা দিয়েছে। এছাড়া রাসায়নিক অস্ত্র হামলার ভীতি কাজ করছে এখানকার বাসিন্দারের মধ্যে।’ যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সরকারি বাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া ব্যারেল বোমায় তিনজন বিদ্রোহী যোদ্ধা নিহত হয়েছে।