উইকেট বাঁচাতে অমন আত্মঘাতী লাফ কেন?
খেলা ডেস্কঃ ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে নিউজিল্যান্ডের সাথে প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা চলছে।
মাত্রই ইনজুরি আক্রান্ত মুশফিকুর রহিমের বদলি হয়ে দুদিনের কষ্টসাধ্য উইকেট কিপিংয়ের দায়িত্ব শেষ করে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন ইমরুল কায়েস। এরই মধ্যে ২৪ রান সংগ্রহ করেছেন।
একটি কষ্টসাধ্য রান নিতে গিয়ে রানআউট এড়াতে লাফ দিলেন।
লাফ দিয়ে সেই যে পড়লেন, আর উঠতে পারলেন না। খেলা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হল।
ফিজিও এলেন, কায়েসকে তোলার চেষ্টা হল, উঠলেন, তারপর ভেঙেচুরে পড়ে গেলেন আবার।
অবশেষে মাঠ ছাড়লেন স্ট্রেচারে করা। স্কোরকার্ডে ইমরুল কায়েসের নামের পাশে লেখা হল ‘রিটায়ার্ড হার্ট’।
এক দৃশ্যের চিত্রায়ন হয়েছিল গত ছাব্বিশে ডিসেম্বরেও। সেদিনও একই প্রতিপক্ষের সাথে প্রথমবারের মত ওয়ানডে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ।
রানআউট এড়াতে লাফ দিয়েছিলেন ৪২ রানে থাকা মুশফিকুর রহিম।
সেই যে পড়লেন, তারপর রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে পরবর্তী দুই ওয়ানডে ও দুই টি-টোয়েন্টির জন্য মাঠের বাইরে তিনি।
মুশফিক বিনা বাংলাদেশ দলের মিডল অর্ডারের যে কি খারাপ অবস্থা হয়, তা এই পুরে সিরিজে দেখেছে বাংলাদেশ।
এমনকি বেসিন ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে চলমান এই প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৫৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলবার পরও শেষ পর্যন্ত ফিল্ডিং করা হয়নি তার।
তার বদলী উইকেট রক্ষকই হতে হয়েছিল কায়েসকে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, একটি ম্যাচের জন্য উইকেট বাঁচাতে অমন আত্মঘাতী লাফের যৌক্তিকতা কী?
ক্রিকেট ভাষ্যকার শামীম আশরাফ চৌধুরী বলছেন, রানআপের শেষ মাথায় গিয়ে উইকেট বাঁচাতে অমন লাফ দেয়া খেলারই অংশ।
দলের কথা ভেবেই ওটা করেন খেলোয়াড়েরা।
কিন্তু এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, ওই ঝুঁকিপূর্ণ রানটি নেয়ার চেষ্টা করাটাই তাদের বোকামি হয়েছে কি না?
মি. চৌধুরী এই প্রশ্ন তুলে বলছেন, এমনিতেই ইমরুল কায়েস বদলি হিসেবে দীর্ঘ সময় উইকেট রক্ষক থেকেছেন।
অনভ্যস্ততার কারণে তিনি শারীরিকভাবে কিছুটা দুর্বল হয়ে গিয়ে থাকতে পারেন।
‘তারাতো ভালোই খেলছিলেন, ওইসময় ওই রানটি নেয়ার কোন প্রয়োজনই ছিল না’, বলছিলেন মি. চৌধুরী।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে দুদিন উইকেট রক্ষকের দায়িত্ব পালন করে বিরল একটি রেকর্ড করে ফেলেছেন ইমরুল কায়েস।
তিনি প্রথম কোন বদলী উইকেট রক্ষক হিসেবে ক্যাচ নেয়ার মাধ্যমে প্রতিপক্ষের ৫ জন ব্যাটসম্যানকে আউট করেছেন।(সূত্র-বিবিসি)