কাঁঠালবাড়িতে স্থানান্তরিত হলো কাওড়াকান্দি ঘাট
স্টাফ রিপোর্টারঃ কাঁঠালবাড়িতে আজ স্থানান্তরিত হলো কাওড়াকান্দি ঘাট। প্রায় ৩০ বছর পর কাওড়াকান্দি ঘাট বিলুপ্ত হলো আজ। এতে ফেরি পথের দূরত্ব ৫ কিলোমিটার কমবে এবং যাত্রীরা সহজেই পারাপার হতে পারবে।
রোববার বেলা ১১টায় নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এই কাঠাঁলবাড়ি ঘাটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন। এর আগে গত ৮ জানুয়ারি সড়ক ও পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের এ্যাপ্রোচ সড়ক আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেন। এরপর থেকেই কাঠাঁলবাড়ি ঘাট থেকে ফেরি চলাচল করছে।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগেই সুফল পেতে যাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। এতে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি ফেরি রুটের দূরত্ব প্রায় পাঁচ কিলোমিটার কমেছে। বিলুপ্ত হচ্ছে কাওড়াকান্দি ফেরিঘাট। এখন এই ফেরি সার্ভিসের নামকরণ হয়েছে- শিমুলিয়া-কাঠাঁলবাড়ি ইলিয়াস চৌধুরী ফেরি রুট। এই ফেরি রুটের দূরত্ব হবে ৯ কিলোমিটার।
এখন পারপারে গড়ে সময় লাগবে এক ঘন্টা। আগের প্রায় ১৪ কিলোমিটার ফেরি পথ পাড়ি দিতে গড়ে সময় খরচ হত প্রায় দেড় ঘন্টা। নতুন এই ফেরি রুটে সময় এবং ভাড়া দু’টিই হ্রাস পাচ্ছে। তাই পদ্মা সেতু চালুর আগেই এই সুবিধা সৃষ্টি হওয়ায় খুশি এই রুটে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ।
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নে স্থানান্তরিত এই ফেরি ঘাটের সাথে সাথে ৮৬টি লঞ্চ ও তিন শতাধিক স্পিডবোটও এই ঘাট থেকে এখন চলাচল করবে।
দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার পদ্মা পারাপারের যাত্রীরা শিমুলিয়া (মাওয়া)-কাওড়াকান্দি ফেরিঘাট ব্যবহার করে রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করছে। তবে কাওয়াকান্দি ঘাট বিলুপ্ত হওয়ার কারণে সেখানে ঘাট কেন্দ্রিক অধিকাংশই নতুন ঘাঠে স্থানান্তর হচ্ছে।
সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী দু’বছরের মধ্যেই পদ্মা সেতু চালু হচ্ছে। এই অল্প সময়ের জন্য ঘাট স্থানান্তরের সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঘাট স্থানান্তরে প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। আর এই দু’ বছরে ঘাটের দূরত্ব কমে যাওয়ার কারণে শত শত কোটি টাকার জ্বলানি ও কর্মসময় সাশ্রয় হবে।
সূত্র : বাসস