নাইজেরিয়ায় ‘ভুলে’ বিমান হামলায় শতাধিক শরণার্থী নিহত –
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ খবর ছিল উগ্রপন্থী বোকো হারাম গোষ্ঠীর সদস্যদের লুকিয়ে থাকার। তাই নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়। আর সেই বিমানের বোমাবর্ষণে মারা গেল শতাধিক শরণার্থী। আহত আরো অনেকে।
তাদের মধ্যে দু’জন নাইজেরিয়ান সেনা এবং রেড ক্রসের বেশ কয়েকজন চিকিৎসকও রয়েছেন। মঙ্গলবার নাইজেরিয়ার উত্তর–পূর্ব দিকে ক্যামেরুন সীমান্তের কাছে রান–এ ঘটনাটি ঘটেছে।
মৃত এবং আহতদের উদ্ধারে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। ভুলবশত যুদ্ধবিমান থেকে শরণার্থী শিবিরে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। নাইজেরিয়ার সেনা কম্যান্ডার মেজর জেনারেল লাকি ইরাবর বোমাবর্ষণের খবরটির সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন।
বলেন, ‘বোকো হারাম জঙ্গিদের উপস্থিতির কথা জেনেই এই অভিযান করা হয়েছিল। তবে ঠিক কী কারণে এই ভুলটি হলো, সেটি খতিয়ে দেখা হবে।’
তিনি আরো বলেন, ইচ্ছাকৃত ভাবে সাধারণ মানু্ষকে মারার পরিকল্পনা কখনই সেনার হতে পারে না। ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে। এই প্রথম নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এরকম ভুলের কথা স্বীকার করা হলো।
যদিও ওই অঞ্চলের গ্রামবাসীদের মতে, এর আগেও একাধিকবার সেনার বোমাবর্ষণে সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, বুধবারই গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদ শেষ হচ্ছে ইয়াহা জামেহার। কিন্তু গত ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করা আদামা বারোয়কে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে নারাজ তিনি।
আর এর মধ্যেই জামেহার ওপর চাপ বাড়াতে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে নাইজেরিয়া। তাই মঙ্গলবার ৯০ দিনের জন্য গোটা দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন জামেহা।
দেশে যাতে বিদ্রোহ কিংবা সেনা অভ্যুত্থানের মতো পরিস্থিতি না তৈরি হয় এবং শান্তি বজায় থাকে সেজন্যই এই পদক্ষেপ করেছেন তিনি।